ছবি : আপন দেশ
আজ থেকে সরকারের কাছে আর কোনো দাবি করব না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, এখন থেকে আমরা লড়াই করে খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্ত করব। এ লড়াই-আন্দোলন চলছে। আজকে কোথাও আইনের বিচার নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ পদদলিত হয়েছে। এসব মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশ সেলিমা রহমান এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম. জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী, কৃষকদলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, যুব জাগপার মির আমীর হোসেন আমু, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ।
সেলিমা রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজকে কথা বলতে পারে না, প্রতিবাদও করতে পারে না। আজকে মহান ভাষা দিবসে মাসেও তারা কোনো কথা বলতে পারছে না। এ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে, গনতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে কারাগারে গিয়েছেন বিএনপি অসংখ্য নেতাকর্মী। তারা এখনো কারাগারে নির্যাতন নিপীড়ন শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জনপ্রিয়তার প্রতিহিংসার কারণে সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার ষড়যন্ত্র করেছেন। আজকে তিনি জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তবুও সরকারের কাছে মাথানত করেনি। গৃহবন্দী থাকার পরও দেশনেত্রী বলছেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে দেশের কোনো মানুষ ভোট দিতে যায়নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্য বিএনপির এ সিনিয়র নেত্রী বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয়, আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসী দল। লাঠি লগি বৈঠা দিয়ে এরা মানুষ মারে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। ছাত্রলীগের হাতে পিস্তল লাঠি দা তুলে দিয়েছে। তাই শিক্ষাঙ্গনে দেখা যায় একদিকে টেন্ডার বাজি চলছে, অন্যদিকে মারামারি। সারাদেশে খুন-গুম করে বেড়াচ্ছে ছাত্রলীগ যুবলীগের ক্যান্ডাররা।
সেলিমা রহমান বলেন, সামনে রমজান আসছে দ্রব্যমুল্য নিয়ে সাধারণ জনগণের চিন্তিত। জিনিসপত্রের দাম আগুন ছোঁয়া। সরকার প্রতিদিন বলছে দাম কমাবে কিন্তু দাম কমবে না। এ সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে না। কারণ এর সঙ্গে জড়িত সরকার দলীয় লোকজন। ছাত্রসমাজ, নারীসমাজসহ দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আহবান জানান তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। ২০০৮ সালে দেশে কোনো নির্বাচন নয়, চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা বসানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা ছিল দেশকে রাজনৈতিকশূণ্য করা, অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। তারা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যতদিন এ সরকার ক্ষমতায় আছে ততদিন দ্রব্যমুল কমবে না।
তিনি বলেন, মিথ্যা কথার বলার জন্য নোবেল পুরষ্কার দেয়া হলে এ সরকার পুরষ্কার পাবে। এ সরকার সাংবিধানিক অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার ও সামাজিক অধিকার ধ্বংস করছে। আজকে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবহার করে দুবৃর্ত্তায়ন পরিণত করেছে। তাই স্বাধীন, সার্বভোমত্ব রক্ষা করতে, মানুষের মুক্তি ও গণতন্ত্রের জন্য পুনরায় আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী দুর্বৃত্তায়ন থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।