ছবি : সংগৃহীত
গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং মিছিলে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। নেতৃবৃন্দ অেভিযোগ করেছেন, ড্যামি সরকারের মাফিয়া সিন্ডিকেটের জন্য নতুন লুটপাটের সুযোগ তৈরি করছে। তারা আবারও গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে।
আজ (১ মার্চ)বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশের পরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন। পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরানা পল্টন মোড় থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করছে সরকার। তাদের মাফিয়া সিন্ডিকেটের জন্য নতুন লুটপাটের সুযোগ তৈরি করছে। আবারও গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে। সেই সঙ্গে রোজা সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সিন্ডিকেটও তৎপর হচ্ছে। আর এ সব লুটপাটের প্রতিবাদে রাস্তায় নামার কারণেই সরকার তার পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, হামলা-মামলা ডামি সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন, প্রতিবাদ থামায়ে পারবে না। ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে জনগণ যে গণরায় দিয়েছে তার উপর ভিত্তি করে অচিরেই নতুন গণ-আন্দোলন গড়ে উঠবে। তাদেরকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে- বলেন তারা।
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে যারা সিন্ডিকেটের কোন কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আবারো ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে। 'ছয় মাস পর সিন্ডিকেট থাকবে না' এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত সিন্ডিকেটের রাজত্বকেই প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। মানুষের জীবনের নাভিশ্বাস তোলার বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন আর তীব্রতার হবে।
অবিলম্বে প্রহসনের নির্বাচন বাতিলপূর্বক সংসদ ভেঙে সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। আন্দোলন জোরদার করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বক্তরা।
অগ্নিকাণ্ডের নিন্দা
নেতৃবৃন্দ বলেন, বেইলি রোড়ে অগ্নিকাণ্ডে মর্মান্তিকভাবে হতাহতের ঘটনা একটি কাঠামোগত হত্যাকান্ড। সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠাণের অবহেলার কারণে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। তারা দায়ী সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।