ফাইল ছবি: সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম
সরকারের জনসমর্থন তলানীতে চলে গেছে। তারা এখন যা করছে তা ভারতকে খুশি করার জন্য। তবে ভারতের ওপর ভর করে কয় বছর থাকতে পারবে তাদের চিন্তা করা উচিৎ। এ মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ১১তম দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে নামাজি, তাহাজ্জুদ গুজার ও কোরআন তিলাওয়াতকারী হিসেবে পরিচয় দেন। প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত করেন, খুব ভালো কথা। কিন্তু এ সরকারের বর্তমান সময়ে কোরআনের ক্লাসে বাধাদান, ইফতারে নিষেধাজ্ঞা, রোজাদারদের ওপর হামলা ও রক্তাক্তকরণ করা হয়-এর বিচার হয় না। এমন আচরণকারীদের কোরআনে মুনাফিক বলা হয়েছে। যারা বাহিরে এক এবং ভেতরে আরেক চিন্তা লালন করেন, এমন ব্যক্তিরা কোরআনের ভাষায় মুনাফিক।
তিনি বলেন, রমজানের প্রথম দশক রহমতের শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের শুরু হয়েছে। মাহে রমজান যে জন্য এসেছে অর্থ্যাৎ তাকওয়ার গুণে গুনান্বিত হওয়ার জন্য, সেই তাকওয়া আমাদের জীবনে অর্জন করতে পেরেছি কিনা তা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। পবিত্র মাহে রমজান আত্মশুদ্ধি, সাম্য, সহমর্মিতা ও মানবীয় গুনাবলী সৃষ্টির শিক্ষা দেয়।
মুফতী রেজাউল করীম বলেন, রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস, ইসলামের প্রতিষ্ঠার মাস, বিজয়ের মাস। মুসলমানের দ্বীন ও দুনিয়ার সমৃদ্ধি, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক উন্নতি, দৈহিক ও মানবিক শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে আসে মাহে রমজান। এ রমজান কোরআন নাজিলের মাসে কোরআন শিক্ষার ক্লাসে নিষেধাজ্ঞা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।
আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।