ফাইল ছবি
আবারও দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙ্গেছেন মো. রিয়াজ উদ্দিন। এবার তাকে কারণ দর্শানো নোটিস দেয়া হয়েছে। সময় দেয়া হয়েছে ১৫দিন। এর মধ্যে সঠিক জবাব না পেলে তাকে পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হতে পারে। কিংবা বহিষ্কারের মতো আরও কঠিন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। রিয়াজ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) তার কাছে দেয়া নোটিসে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির।
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী। তিনি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর। অনৈতিক কর্মের ভিডিও ফাঁস হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারাদেশ ইস্যুতে রিয়াজ-চামেলীর ফোনালাপ ফাঁস হয়। তাতে ঘুষ লেনদেনের আলোচনা হয়। যা চামেলী স্বীকারও করেছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়। যদিও রিয়াজ ফোনালাপের বিষয়টি অস্বাীকার করেন।
রিয়াজ-চামেলীর অডিও ফাঁসের ঘটনায় বিরক্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগও। দলটির গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতারাও রিয়াজের ভেতর-বাইরের কর্মকাণ্ড নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন।
গত সাত মাস আগেও (১৯ সেপ্টেম্বর) দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত হন রিয়াজ। ওই সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। রাজধানীর শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন তিনি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
তবে সে যাত্রায় প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর আশীর্বাদে অনিয়মের অভিযোগটি ম্লান হয়। দলীয় পদটিও ফেরত আসে রিয়াজের হাতে। কিন্তু তাতে থেমে থাকেনি উঠতি এ নেতা।
আপন দেশ/এসআই/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।