Apan Desh | আপন দেশ

‘দেশের প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ঋণের বোঝা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ৯ জুন ২০২৪

আপডেট: ১৭:০১, ৯ জুন ২০২৪

‘দেশের প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ঋণের বোঝা’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ঋণের বোঝা দিয়েছে অবৈধ সরকার। এরপরও তারা বাজেট দেয় যেখানে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এরপরও যেসব বুদ্ধিজীবী তাদের প্রশংসা করেন তারা কী নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জাতি গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব)।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ঋণের বোঝা। এরপরও তারা বাজেট দেয় যেখানে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এ সরকার দেশকে কোথায় নিয়ে গেছে? এরপরও যেসব বুদ্ধিজীবী তাদের প্রশংসা করেন তারা কী নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করেন? সুতরাং আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বলবো আপনারা জাতি গঠনে কাজ করুন। দেশের ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরি করুন। আজকে ডাকসুসহ কোনো নির্বাচন নেই।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নিজের সততা দিয়ে দেশের আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন জিয়াউর রহমান। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাব তো তারই অবদান। অথচ জিয়াউর রহমানের নামই উচ্চারণ করতে চায় না।

আরও পড়ুন>> বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া

দেশ বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশটাকে জাহান্নামে নিয়ে গেছে সরকার। দেশের সকল কাঠামো ধ্বংস করেছে। আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগ না করলে চাকরি হয় না। দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। তাদের মিথ্যা বলায় জুড়ি মেলা ভার। আওয়ামী লীগ কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। এরকম একটি দল দেশ ও জাতির জন্য বড় সমস্যা। তারা দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আজকাল তো জিয়াউর রহমানের নাম নেয়া যায়না। পরবর্তী প্রজন্ম তো তাকে স্মরণ করতে পারবেনা। এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ পাঠ্যপুস্তকে তার সম্পর্কে কোনো কিছু লেখা নেই। পরিকল্পিতভাবে এটা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের কেমিস্ট্রিতে দুর্নীতি সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নেই উল্লেখ করে তিন বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র হচ্ছে কাউকে সহ্য করতে না পারা। তারা প্রথমত সহিষ্ণুতায় বিশ্বাস করে না। পক্ষান্তরে জিয়াউর রহমান সবার কথা শুনতেন। তিনি কথা কমই বলতেন। বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তি সবার সঙ্গে কথা বলে যে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন, তা বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি।

সভাপতিত্ব করেন ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। ‘বাংলাদেশে বিজ্ঞান গবেষণা ও শিক্ষিত জাতি গঠনে শহীদ জিয়া’ এবং ‘জিয়াউর রহমান: ক্রান্তিকালের ত্রাণকর্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি’ শীর্ষক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।

আপন দেশ/এবি/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়