Apan Desh | আপন দেশ

‘খালেদা জিয়ার মুক্তি রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে চায়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ৪ জুলাই ২০২৪

‘খালেদা জিয়ার মুক্তি রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে চায়’

ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনগত বিষয়। বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। এমন দাবি করেছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেয়া বিবৃতি ‘মিথ্যা ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তাদের মিথ্যাচার, অপপ্রচার জনগণের সামনে প্রকাশিত হওয়ায় বারবার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও তারা মিথ্যাচার করছে। চিকিৎসাগ্রহণ শেষে খালেদা জিয়া বাসায় ফিরে গেছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। এটা আইনগত বিষয়। আইনগত বিষয়ে বিএনপি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবেলা না করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে। গত কয়েক বছর ধরে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন করছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুকে প্রাধান্য না দিয়ে একটি অরাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু করার অপচেষ্টা করছে। আর বিএনপি যখনই তাদের তথাকথিত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে, তখন তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে সক্রিয় করে। বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অপচেষ্টা করে। আর এ সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যায়নি। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি ও তার দোসররা সর্বদা তৎপর থেকেছে। এটা বিএনপির জন্মগত রাজনৈতিক লিগ্যাসি। কারণ অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল কখনও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারে না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করতে সক্ষম হতো বা তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে পারতো তাহলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎ সাহস দেখাতে পারতো। সেটা না থাকার কারণে বরাবরই বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা গণতান্ত্রিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটাতে সন্ত্রাস-সহিংসতাকে উসকে দেয়ার পাঁয়তারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়