ছবি: আপন দেশ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি দমন করতে, পৈশাচিক নির্যাতন করছে সরকার। এখনই ক্ষমতাসীনদের না রুখলে জাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ছাত্রদের ডাকে সাড়া দিয়ে, সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সোমবার (১৫ জুলাই) ছাত্রলীগ যা করেছে তা পাকিস্তানীদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। তারা হাসাপাতালে গিয়ে হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ পৈশাচিক নির্যাতন করত। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সেটিই করছে। তারা অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে। অথচ শিশিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা ভয়াবহ। দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র নেই। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র নির্বাসিত করেছে। দেশকে পরনির্ভরশীল অর্থনীতিতে পরিণত করেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুধু ঢাকাতে নয় গোটা দেশে এ হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এখন তো সবার উচিত আন্দোলন করা। কারণ, আমাদের সন্তানদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এ সময়ে রুখে দাঁড়াতে না পারলে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। তার আমলা নির্ভর ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। আমি গতকাল তাদের সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদী আচরণ দেখেছি। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমাদেরকে অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে।
কোটা ব্যবস্থা তো প্রধানমন্ত্রীই বাতিল করেছিলেন। আবারও আদালতকে ব্যবহার করে একটা ইস্যু বানিয়েছে। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। আমাদের সবাইকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এ সরকারকে আর সময় দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফেরত চাই। এটাই মূল সমস্যা। আমরা সুষ্ঠু ও জবাবদিহিমূলক সরকার চাই, ব্যাবস্থা চাই। কিন্তু সরকার একের পর এক ইস্যু তৈরি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেষ্টা করছে।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।