ফাইল ছবি
সাবেক মন্ত্রী-এমপি হলেই তহবিলে কয়েক কোটি থেকে হাজার কোটি টাকা। এমপি হলেই টাকার পাহাড়ের চূড়ায় উঠা যায়-এমন ধারণা ছিল হাল আমলেও। আর ভোটের মাঠের আগে লড়াইটা ছিল মনোনয়ন প্রাপ্তির। হাতে দলীয় মনোনয়ন মিললেই ধরা দিত সংসদের চেয়ার। গাড়ীতে উড়তো জাতীয় পতাকা।
এমন চিত্রে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদে যেতে চেয়েছিলেন সিনেমাপাড়ার ডজনখানের অভিনেত্রী। নিজস্ব শিল্প স্বত্তা রেখে ক্ষমতাই ছিল ওদের টার্গেট। অনেকেই মনোনয়ন বা নৌকা পাননি। তবে অনেকেই ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন স্বতন্ত্র। আওয়ামী লীগ ও দলটি মনোনয়ন বোর্ডের প্রভাবশালীদের আশ্বাসে তারা অভিনয় ছেড়ে আইনপ্রণেতা বনে যেতে চেয়েছিলেন।
সাবেক এমপি তারানা হালিম, মমতা ছিল তাদের আইডল। আর আশির্বাদ দাতাদের মধ্যে আলোচনায় ছিল ওবায়দুল কাদের, শেখ সেলিমসহ অনেকের নাম।
ওই নির্বাচনে সব চেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন নায়িকা মাহিয়া মাহি।
তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, আর অভিনয় করবেন না। সংসদ সদস্য হয়ে জনসেবা করবেন। মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু সে আশা পুরণ হয়নি। তাতে হাল ছাড়েনি মাহি। মনোনয়ন জমা দিয়েই চলে যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে। তার দোয়া নিয়ে নৌকার বিপরীতে লড়েছিলেন ট্রাক নিয়ে। ফল মিলেনি। একদিকে এমপি হতে পারেননি, অন্যদিকে রাজনীতিবিদ স্বামীর সঙ্গে ঘটেছে বিচ্ছেদ। অবশেষে ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরেছেন। শুরু করেছেন অভিনয়।
এরপরই বহুল আলোচনায় আসে নিপুন আক্তারের নাম। শেখ হাসিনার সরকারের বিশেষ ক্ষমতাধর শেখ সেলিমের স্নেহভাজন ছিলেন তিনি। নিজ দলের নেতাকর্মীরা তাকে বেশ সমীহ করতেন বিশেষ প্রভাবের কারণেই। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ওই প্রভাবে বিজয় আনলেও নৌকার মাঝি হতে পারেননি।
ঢাকাই সিনেমার আরেক আলোচিত নায়িকা নূসরাত ফারিয়া। বহুল ব্যয়ে নির্মিত ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার চরিত্রে। আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনী মাঠে নামতে চেয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। মনোনয়ন বোর্ডেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সিগন্যাল মিলেনি।
চলচ্চিত্রজগতে ‘ম্যাডাম ফুলি’ খ্যাত নায়িকা শিমলা ও চিত্র নায়িকা শাহনূরও নৌকা চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে।
টিভির পর্দায় খ্যাতিমান অভিনেত্রী তারিন জাহানও কিনেছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র। সরকারের সমর্থনে বেশ কিছু সভা-মিছিলে দেখা গেছে এ অভিনেত্রীকে।
সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হয়ে জাতীয় সংসদে যেতে আশা করেছিলেন অভিনেত্রী নাতজিন সুইটি। আশায় হয়েছে গুড়েবালি।
নৌকায় চড়ে সংসদে যেতে মনোনয়ন কিনেছিলেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
অভিনেত্রী উর্মিলা শ্রাবন্তি কর মনোনয়ন কিনেছিল। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন, মাঠে তাকে দেখা গেছে ।
প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তিনি সংরক্ষিত আসেনের হয়ে ময়মনসিংহের মেয়ে, কথা বলতে চেয়েছিলেন সংসদে। কিন্তু পত্র পাননি।
এছাড়াও শিল্পী সত্বার বাইরে এসে এমপি হতে চেয়েছিলেন, মৌসুমী, অরুণা বিশ্বাস, অঞ্জনা, লাকি এনাম, সুবর্ণা মোস্তাফা,রোকেয়া প্রাচী, অপু বিশ্বাস, সমি কায়সার, শামিমা তুষ্টি, জোতিকা জ্যোতি, জাকিয়া মুন প্রমুখ।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।