Apan Desh | আপন দেশ

ভারতের আগ্রাসীনীতিতে দূরত্ব বাড়ছে: ১২ দলীয় জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৪:২৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতের আগ্রাসীনীতিতে দূরত্ব বাড়ছে: ১২ দলীয় জোট

ছবি -আপন দেশ

ভারতের আগ্রাসীনীতির ফলে প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন সেজন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ভারতের আগ্রাসীনীতির ফলে প্রতিবেশী সবগুলো দেশের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দেশগুলোও তাদের অবিবেচক ও নেতিবাচক আচরণে অতিষ্ঠ।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক উইপ জয়নুল আবদীন ফারুক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ভারতের কাছ থেকে অবন্ধু সুলভ আচরণ মানতে পারি না। আমরা তাদেরকে বন্ধু ভেবে থাকি। বাংলাদেশের চারদিকে অশান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আসাম, মনিপুরসহ বিভিন্ন স্থানে। ভারত যদি তার নীতি সংশোধন না করে তাহলে আল্লাহ জানেন তাদের ভাগ্যে কী হবে?
এরমধ্যে ভারতের ৬০ মাইল এলাকা বিদেশি দেশের দখলে চলে গেছে।

জামাল হায়দার আরও বলেন, আমরা শান্তি চাই। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অটুট রেখে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে দেশ পরিচালনা করতে চাই। ভারতের উচিত হবে বাংলাদেশের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন জানানো।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, আপনারা মন্ত্রী, আমিও স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেজন্য আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মন বড়। তারা ক্ষমা করতে জানে। সুতরাং বাংলাদেশ নিয়ে তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দিবে না সেটা কেউ মেনে নেবে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, আপনারা একটা নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিন। আজকে দেশবাসী সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি।

এসময় অন্য বক্তারা বলেন, দেশের মালিক জনগণ অথচ ভারত বরাবরই জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে কৌশলে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ১২ দলীয় জোটের সমন্বায়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান,  বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ,  ইসলামি ঐক্য জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আমীন, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি পিএনপির চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি মাস্টার এম এ মান্নান। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু।

আপন দেশ/মাসুম

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়