Apan Desh | আপন দেশ

মানবজমিন সম্পাদকের প্রতিবেদনে প্রতিক্রিয়া ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১৮, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

আপডেট: ২০:২৪, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

মানবজমিন সম্পাদকের প্রতিবেদনে প্রতিক্রিয়া ঝড়

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে বেশ আলোচিত নাম মতিউর রহমান চৌধুরী। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতর-বাইরে নিয়ে লিখেছেন। শিরোনাম দিয়েছেন‘‘সরকার কি তাহলে প্রতিবিপ্লবের মুখোমুখি?। এ লেখাটি আজ দখলে নিয়েছে সোস্যাল মিডিয়া। তার লেখা বিশ্লেষণ করে নানাজনে লিখেছেন নিজ কথা। প্রকাশিত প্রতিবেদনের নীচেই স্বাধীনভাবে মন্তব্য করা কিছু অংশ আপন দেশ-এর পাঠকের জন্য হুবহু তোলে ধরা হলো-  

কাজী এনাম লিখেছেন,  ওরা প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখেই যাবে। তবে, এই জাতির উপর মহান আল্লাহ সহায় থাকলে কোন কিছুতেই কিছু করতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। যারা প্রতি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেন এদের বেশির ভাগের মূল শিকড় গোপালগঞ্জ। সব ষড়যন্ত্র কিংবা পরিকল্পনার মূল সুতিকাঘর নিদিষ্ট সে জেলা। তবে, সবাই যে তেমন তা নয়। সেখানেও হাসিনা বিরুধী মানুষ আছে তবে নেহাতই কম। ডঃ ইউনুস স্যারকে এরা এগিয়ে যেতে দিচ্ছেনা। উনার স্বপ্ন বাংলার মাটিতে সোনা ফলবেই ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এরা তা করতে দিচ্ছেনা পদে পদে বাঁধার বাঁধ তৈরি করছে। তবে, এটি কোন বিষয় নয়। এই মুহুর্তে স্যারকে একটি বিষয়ের উপর বিশেষ ফোকাস দিতে হবে, সেটি হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি। কারণ দেশের সাধারণ আম জনতা রাজনৈতিক যাতাকলে পিষ্ট হতে চায়না। এরা বুঝেনা রাজনৈতিক এত মারপ্যাঁচ। এরা চাই দু'মুঠো ভাত। এদেরও ইচ্ছে জাগে মাঝে-মধ্যে ভালো মন্দ কিছু খেতে। এই খেতে চাওয়া তাদের কোন বিলাসিতা নয়। শ্রদ্ধাভাজন প্রিয় সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনি জাতির বিবেক হিসেবে জন সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত ডঃ ইউনুস স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার। কারণ আমরাও চাই ডঃ ইউনুস স্যারকে জানাতে কিন্তু স্যার পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা আমাদের নেই। তাই আপনি জাতির বক্তব্যগুলো স্যার পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন সে প্রত্যাশা আমাদের। অন্য আর একটি বিষয়ে আপনার বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- সেটি হচ্ছে প্রবাসী! বিমান বন্দরগুলো যা হচ্ছে তা নিশ্চয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আপনাদের দৃষ্টিগোচরে আসতেছে। এই প্রবাসীদের রেমিটেন্সে দেশ এখন ভাসতেছে। আর সে প্রবাসীদেরকে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে যা ঘটালো সারা মানুষ তা দেখেছে। এই বিষয়ে ডঃ আসিফ নজরুল স্যারের কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা আপনার কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন আশা করব।

সাহিদ উদ্দিন লিখেছেন, স্বৈরাচার ও গণহত্যার অভিযোগ অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ, ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনে ক্ষমতা হারাইয়া পিটানি খাইয়া তার নেতা-কর্মীরা অনেকে বিদেশে চোরের মতো পালিয়ে গেছে। আবার অনেকে দেশেই আত্মগোপনে আছেন তারা রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের হতাশা গ্রস্ত দলীয় কর্মীদের মন-মানসিকতা চাঙ্গা রাখার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম আজগুবি গাঁজা কুরী ও মিথ্যা কল্পকাহিনি লিখিতেছেন । সুতরাং দেশে সত্যিকার অর্থে প্রতিবিল্পব ঘটার বিন্দু মাত্রও কোনো সম্ভাবনা নাই কিন্তু এই মূহুর্তে বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে সাধারণ জনগণের স্বার্থে দ্রব্য মূল্যর লাগাম টেনে ধরা।

মোস্তাফা আহসান লিখেছেন, দেশের সার্থে প্রফেসার ড. ইউনুস’কে আবেদন জানাচ্ছি - সমস্ত বাংলাদেশের চৌষটি জেলায় সরকারের নায্য মূল্যের নিত্য্ পন্য বেশি না চাল ডাল মাছ মুরগি মাংস তেল পেয়াজ আলু আদা রসুন মশলা ডিম লবন আটা ময়দা সুজি চিনি চা থেকে শাক সবজি সহ অন্তত পচিশটি আইটেমের প্রতি জেলায় পনচাশটি করে মোট তিনহাজার দুইশত (৬৪জেলায় ৫০ টি করে মোট দোকান ৩,২০০/-) ন্যায্যমূল্যের দোকান প্রতি জেলার ডিসি ইউএনওর মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনের বিপ্লবি জেলা সম্মনয়কদের তত্ত্বাবধানে চালু করা যেতে পারে। এতে করে লোকাল কাঁচা বাজার গুলির সিনডিকেট ভাংগা সম্ভব হবে। সরকার এসব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য দুজন আনসার কাম সেলসম্যান নিয়োগ দিতে পারে বা অন্য কোন উপায়ে তা সমাধান করতে পারে। মোট কথা সাবসিডি দিয়ে হলেও নিত্যপন্যের মূল্য অনতিবিলম্বে জনগনের ক্রয় সিমার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে এতে করে যদি দুইশত কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে প্রতি মাসে যায়ও তবু সাধারন মানুষ নিরব দূরভিক্ষের হাত থেকে রক্ষা পাবে। আপনার প্রতি সাধারন মানুষের আকাশচুম্বি প্রত্যাশা -আপনাকে ব্যারথ হতে দেওয়া মানে নূতন স্বাধীন বাংলাদেশকে হারিয়ে ফেলা যা কোনভাবেই কারো কাম্য নয়। আপনি পরয়জনে আরো তরুন তিরিশজন উপদেষটা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির এবং বিপ্লবি ছাত্র সমমনয়েকাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিন এবং অনুগ্রহ করে কাজের গতি নিয়ে আসুন। ডালাস টেকসাস থেকে।

শহিদুল্লাহ লিখেছেন, জিনিষ-পত্রের দাম বাড়ছে এ কথা ঠিক কিন্তু এ কথাও মানতে হবে যে প্রতি বছর এই সময় শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পায়। তা ছাড়া ভারত এক চেটিয়া ভাবে হাসিনার সরকারের সমর্থক ছিল। হাসিনার সরকারও সব ক্ষেত্রে ভেরতের উপর নির্ভরশীল করে গেছে গোটা দেশের অর্থনীতিকে। ভারতও সুযোগ বুঝে ব্যবসা-বাণিজ্যে সব ক্ষেত্রে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা তো হবেই। কষ্ট হলেও ধৈর্য্য তো ধরতে হবে। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির এই সুযোগ টা কাজে লাগাচ্ছে আওয়ামী মহল। এটিই তাদের কাজ। ৭১-এ দেশ স্বাধিনের পুর্বেও শেখ মুজিব ম্যাচ আর কাগজের মূল্য নিয়ে জঙ্গণকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। আবারো সেই রাজনীতি শুরু করেছে। তারপর ক্ষমতায় যেয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা ও বাকশাল কায়েম করবে। জোর করে ভিন্ন সংস্কৃতি বাংলাদেশীদের উপর চাপিয়ে দেবে। বার বার আমরা না বুঝে স্বৈর তন্ত্রের শিকার হই।

মো. বরকত উল্লাহ লিখেছেন, দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাংগার জন্য দরকার কার্যকর পদক্ষেপ। যেমন- ১। প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের প্রকৃত উৎপাদন/ আমদানি ব্যয় পর্যালোচনা করে যৌক্তিক লাভ সহ ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা, ২। পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের জন্য যৌক্তিক লাভসহ বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা, ৩। ভোক্তা অধিদপ্তরকে বাজার মনিটরিং এ আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করা, ৪। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক/ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং করা, ৫। বাজার সিন্ডিকেটের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ৬। উৎপাদন ও আমদানি ব্যয় কমানোর জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ভালো হয় তা বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা।

মো. নুরুল আলম লিখেছেন, এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবেনা। এই সরকার ব্যর্থ হবেওনা ইনশাআল্লাহ। তবে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে আরো কঠোর হতে হবে। উপদেষ্টামণ্ডলীর পরিধি বাড়াতে হবে। বর্তমান উপদেষ্টাদের আচরণ এবং কার্যক্রম কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজন হলে পরিবর্তন আনতে হবে। দৃঢ়চেতা লোকদেরকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট যে সেটাপ রেখে গেছে তা ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে হবে। ১/১১ সরকার তাদের কার্যক্রম আইনানুগ করার জন্য যেমন বড় রাজনৈতিক দলের একটিকে বেছে নিয়েছে তেমনি বর্তমান সরকারকেও সে পথে হাটতে হবে। ফ্যাসিস্ট এবং লুটেরার দল দেশকে যেভাবে ভঙ্গুর করে দিয়ে গেছে সেখান থেকে উত্তরণের জন্য কঠিন থেকে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ইস্পাত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপাতত সকল উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত করে দিয়ে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে এবং এটা ফরজ।

আপন দেশ/এমবি

 

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়