ভারতে প্রবাসী সরকার গঠনের পরিকল্পনা আ. লীগের

গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পতন ঘটে তার সরকারের। সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী উনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি তা গ্রহন করেছেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে রাষ্ট্রপতি জানান, তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনো লিখিত নেই। পালিয়ে যাওয়ার কারণে সর্বোচ্চ আদালতের পরামর্শ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।   

শেখ হাসিনার পালানোর প্রায় দুই মাস পর গণমাধ্যমে খবর আসে আওয়ামী লীগ প্রবাসী সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লা নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করে ছাত্র-জনতা। 

মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, খুনি হাসিনা পালিয়ে গিয়েও বসে নেই। প্রতিনিয়তই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা খবর পেয়েছি, কুমিল্লা সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরায় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী জড়ো হয়েছে। সাবেক এমপি বাহার ও তার মেয়ে সেখানে বসে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদেরকে বলে দিতে চাই, তাদের ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা কখনোই বাংলার মাটিতে সফল হবে না। ফ্যাসিবাদের দালাল ছাত্রলীগ, যুবলীগ, টোকাই লীগ, বাংলাদেশের কোথাও পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রচার কমিটির সদস্য শেখ রুবেল বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রধান করে শিগগিরই ভারতের মাটিতে প্রবাসী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, গতকাল ভারতে আমাদের একটি ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় প্রবাসী সরকার গঠনের। যার প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। 

তবে শেখ রুবেল প্রবাসী সরকার ইস্যুতে ভারত সরকারের অনুমতির বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, দেখেন তাদের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের কোনো কিছুই করা সম্ভব না। তবে দুদেশের সুসম্পর্ক যেন বজায় থাকে সেজন্যে আমরা কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার কাছে প্রবাসী সরকার গঠনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তবে তারা স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি।  

আপন দেশ/এমবি/এবি