ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগকে গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকেও অপসারণের দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে পূর্ববর্তী অবস্থানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। যা শপথ ভঙ্গের সমার্থক। নেতৃবৃন্দ সাহাবুদ্দিনকে 'ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিশ্বস্ত' আখ্যা দিয়ে তার দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতাকর্মীরা বলেন, জাতীয় দিবস ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিল করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। রক্তাক্ত জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এরপরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পিতা একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেন। তার বানানো রক্ষীবাহিনী নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে লেলিয়ে দিয়ে হাজার হাজার আলেম ওলামা ও বিরোধী নেতাকর্মী হত্যা করেন। ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালান। স্বাধীন বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ভোটডাকাতির নির্বাচনের নজির তৈরি করেন বাকশালী স্বৈরাচারী মুজিব। তার দলীয় লোকজনের সীমাহীন লুটপাটের ফলে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। সে দুর্ভিক্ষে অনাহারে মারা যায় দেশের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জনক মুজিব ভিন্নমত দমনে চারটি পত্রিকা বাদে আর সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করেন। তার ফ্যাসিবাদী রাজত্বকে আরো নিরঙ্কুশ করতে তিনি সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল গঠন করেন। এভাবে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্নের ঘাতকে পরিণত হন ফ্যাসিস্ট মুজিব।
মুজিবের বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের শাসনকাল চেপে রাখা হয়েছিল তারই অনুগামী স্বৈরাচারী কন্যা শেখ হাসিনার শাসনামলে। পিতার কুকীর্তি ঢাকতে একদল চাটুকার প্রগতিশীল সম্পাদক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী লালন-পালন করতেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা। নিজের পিতাকে জাতির পিতা বলে চাপিয়ে দেন। পিলখানা ও শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে গত জুলাই-আগস্টেও একের পর এক গণহত্যা চালান। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তিনি অবশেষে ভারতে পালিয়ে যান।
বিবৃতিতে নেতাকর্মীরা আরও বলেন, বিডিআর হত্যা, ৫ মে শাপলা ও ২০২১ ও ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন। তাদের এখনো নিষিদ্ধ না করায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ একের পর এক প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে আরও সংহত করে সফল করতে হলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।