Apan Desh | আপন দেশ

স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে লক্ষ্য অর্জন সহজ নয়’‘

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২:০৯, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে লক্ষ্য অর্জন সহজ নয়’‘

ছবি: সংগৃহীত

পতিত স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগীদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে লক্ষ্য পৌছানো সহজ নয়। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সবাই আমরা একমত পতিত স্বৈরাচার- মাফিয়া সরকারের বেনিফিশিয়ারিদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে অন্তবর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য পৌছানো সহজ নয়।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানী ইস্কাটন লেডিস ক্লাবের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

সনাতন ধর্মালম্বিদের সঙ্গে শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পতিত পরাজিত শক্তি দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতো। সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের কোন একটি ঘটনার বিচার করেনি তারা। গত ১৫ বছরে তাবেদার সরকারের সময় আমরা দেখেছি সন্ত্রাসী দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষদের রাখা হয়েছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় । 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর স্বৈরশাসক পালানোর পর দেশের মুসলমান, হিন্দুসহ সকল ধর্মের মানুষ এখন আয়না ঘরের ভীতিমুক্ত। আজ আমরা স্বাধীনভাবে এখানে একত্রিত হতে পেরেছি। তবে বিভিন্ন ধর্ম গোষ্ঠীর স্বার্থকে পুঁজি করে বা তাদেরকে ব্যবহার করে বা কোন ধর্মকে ব্যবহার করে পলাতক স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া দোসররা যাতে কোন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে না পারে। এ ব্যাপারে আপনাদেরকে ও আমাদেরকে সকলকে সর্তক থাকতে হবে।

ভবিষ্যতে সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্ম  নিশ্চিন্তে উদযাপন করতে পারে তেমন একটি দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ বলে জানান তারেক রহমান। বলেন, মাফিয়া সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য অন্তবর্তীকালানীন সরকার ইতোমধ্য বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। ১৫ বছরের জঞ্জাল শেষ করে চলমান সংস্কার কার্যক্রম শেষ করা বিশাল কর্মজজ্ঞ। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি এ বিশাল কর্মজজ্ঞ সম্পাদন করতে গিয়ে জনগনের প্রতিদিনের দু:খ দুর্দশা লাগব করা না গেলে জনগনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকলে অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়বে। ফলে এ সরকারের কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এজেন্ডাভিত্তিক করা অত্যন্ত জরুরি। 

বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পরাজিত অপশক্তি প্রশাসনে থাকা তাদের দোসররা নানা কৌশলে ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি থাকলেও একটি বিষয় বিএনপিসহ সবাই আমরা একমত- মাফিয়া সরকারের বিনিফিয়িশারদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে অন্তবর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য পৌছানো সহজ নয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পর একটা যে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি নাই। এবার ৫ আগষ্টের পর আবার একটা নতুন সম্ভাবনা এসেছে, আসুন আমরা সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। আসুন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি। 

পতিত শক্তি নানা ধরনের উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে, কোনভাবে এ উস্কানির ফাঁদে পা দেয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, আসুন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী, সকলে মিলে শান্তিতে বসবাস করতে চাই। ধর্ম যার যার দেশটা আমাদের সকলের। ৫ আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর একটা প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, আসুন আমরা সবাই মিলে একটি ঐক্যবদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির মির্জা আব্বাস, ড মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বক্তব্য দেন।  

বিএনপি সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু অপু সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য অধ্যাপক ড সুব্রত বুড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, আফরোজা খানম রিতা, বিএনপি ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, বিএনপি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সুশীল বড়ুয়া, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট উপদেষ্টা তপন দে, মহাসচিব তরুণ দে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মিল্টন বৈদ্য  গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজাঁ উৎযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা প্রমুখ। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়