Apan Desh | আপন দেশ

শেখ হাসিনা বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে করেছিলেন: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ২ নভেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে করেছিলেন: রিজভী

ছবি: আপন দেশ

শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংকটে পড়ে। সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের কথা শুনে মনে হতো তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। আমরা তার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে দেখেনি। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা তোৃ দেখেছি প্রধান বিচারপতিকে তরবারি উপহার দিচ্ছেন সাবেক গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান। ছাত্রলীগের ছেলেরা গিয়ে ফুল দিচ্ছে প্রধান বিচারপতিকে। এমন নজির পৃথিবীতে কোথাও আছে এ ধরনের ঘটনার? এটাই হচ্ছে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী সরকার।কর্তৃত্ববাদী সরকার তার কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে আইন, বিচার প্রশাসন সবকিছুকে একাকার করেছিলেন। শেখ হাসিনা ঠিক বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে করেছিলেন। 

রিজভী বলেন, একদিকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করতে হবে। এ দুটিকে সামনে রেখেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের সীমান্তে প্রতিদিন হত্যা হচ্ছে। কিন্তু সরকার একটি প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। শেখ হাসিনা এতটাই নতজানু যে সীমান্তে রক্তাক্ত হলেও একটি প্রতিবাদও করতে সাহস পাননি। নিজের দেশের গণতন্ত্রের জন্য যারা কথা বলেছে তাদের জায়গা হয়েছে আয়না ঘরে অথবা তাদেরকে বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছে কারাগারে।

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, এ দেশের গণতন্ত্রের প্রতি জাতীয়তাবাদের প্রতি বেগম খালেদা জিয়া। তিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তাকে একটি জরাজীর্ণ কারাগারের মধ্যে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। যার স্বামী এ দেশে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি এ দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ছিলেন তার সহধর্মিণী আপষহীন নেত্রীকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। কারাগারে রাখা হয়েছিল বছরের পর বছর। সেরকম পরিস্থিতি যেন বাংলাদেশে আর না হয় সে কারণে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।

রিজভী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত করতে হলে আইনের শাসন রুল অফ ল এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে গণতন্ত্র। মানুষের শেষ আশ্রয় হচ্ছে বিচার বিভাগ।

এসময় বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জহুরুল হক, কর্নেল তৌহিদ পাঠান, কর্নেল আব্দুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুল রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়