ফাইল ছবি
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিয়ে টুইট করেছেন। তার টুইটের ছবি ও মন্তব্য দেশের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্পের টুইটে বাংলাদেশের ধর্মীয় নিপীড়নের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়। যা বাস্তবে ঘটেনি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত ভারতীয় মিডিয়া ও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডার ওপর ভিত্তি করে এ টুইট করে ট্রাম্প। তারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দেশ হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরতে চাইছে। তবে এখন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা খুবই বিরল।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকারদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছিল নিয়মিত ঘটনা । তবে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা কমে গেছে। সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক দুর্গাপূজা উৎসবটি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। যা দেশের ধর্মীয় সহনশীলতার প্রমাণ।
বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের এলবার্ট পি. কস্তা বলেন, ট্রাম্পের টুইট অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে। ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার মধ্যে দু’একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।
বিশ্ব নেতাদের উচিত যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে মন্তব্য করা। অযাচাইকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মন্তব্য করলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় ‘যোগ করেন এলবার্ট পি. কস্ত ‘।
বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে চায়। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংরক্ষণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বাংলাদেশে ধর্মীয় সহনশীলতার একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যুগের পর যুগ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব বড়োদিন ও দুর্গাপূজা পালিত হয়েছে। যা সম্প্রীতির চিত্র তুলে ধরে।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিশ্বে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল দেখানোর চেষ্টা করছে। তারা ভুল তথ্য ছড়িয়ে পরিস্থিতিকে বিব্রত করতে চায়ছে। তবে দেশের জনগণ সচেতন। তারা মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নতি নিয়ে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে মন্তব্য করা। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত। তারা শান্তি ও সহনশীলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে।
সুতরাং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে হলে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জনগণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।