Apan Desh | আপন দেশ

ইইডিতে প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে গোপন বৈঠক! খতিয়ে দেখছে প্রশাসন

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৫২, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৯:৪৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ইইডিতে প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে গোপন বৈঠক! খতিয়ে দেখছে প্রশাসন

বঙ্গবন্ধু পরিষদের লোগো ও রায়হান বাদশা। ফাইল ছবি

গত ১০ নভেম্বর শহীদ নুর হোসেন দিবস ঘিরে ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বড় চক্রান্ত। যার নেপথ্যে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়ায় পলাতক শেখ হাসিনা। ওই দেশে বসেই তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নানা কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছেন। 

নির্দেশিত হয়ে শো-ডাউনের পরিকল্পনা ছিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগেরও। বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভের প্রস্তুতি চলছিল। এজন্য গোপন বৈঠক হয়েছে বিভিন্ন অফিসে। তেমনই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গোপন বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়ায়। ফোনকলে কায়দা-কৌশলসহ দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন নেতাকর্মীদের। কিছু সংখ্যক কর্মী-সমর্থক তার ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিচ্ছেন, কেউ ঝটিকা মিছিল করেছে। শেখ হাসিনার বাইরে গ্রেফতার-রিমাণ্ডে থাকা কোনো নেতার পক্ষে নামেনি কর্মীরা। মামলা, গ্রেফতারের ভয়ে প্রকাশ্যে আসছেন না বেশিরভাগ নেতাকর্মী।

তবে ভিন্ন-চিত্র দেশের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে। ৫ আগস্টের পর এখানকার আওয়ামীপন্থি সমর্থকদের মধ্যে ঐক্য আরও বেড়েছে। দলের দুর্দিনে একে অপরের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ঠিক করছেন আগামীর কর্মকৌশল।

দলীয় নেতাকর্মীরা মামলায় ফাঁসছেন, গণপিটুনি খাচ্ছেন, পুলিশে সোপর্দ হচ্ছেন। নিজে বাঁচতে বদল করছেন আদর্শ। এমন সময়েও দাপুটে বিচরণ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের আওয়ামীপন্থি নেতাকর্মী সমর্থকরা। তাদের জন্য প্রায় সকল সেক্টরই অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। একমাত্র স্বস্তির বাতাস বইছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে। উল্টো দৌড়েও ওপর আছেন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা। এ ঐক্যের প্রাচীর গড়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা প্রকৌশলী রায়হান বাদশা। তার সাহসী ভূমিকার কারণে স্তস্তিতে অন্যরা।

দীর্ঘ ১৭ বছর প্রধান কার্যালয়ে থেকে শেখ হাসিনার আশীর্বাদ নিয়ে দলীয়দের আগলে রেখেছেন রায়হান বাদশা। বিএনপির আমলে তাকে দুর্নীতির দায়ে সাজাও দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পুরস্কার হিসেবে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরপর ১৭ বছর ছিল তার জন্য স্বর্ণযুগ।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, সংসদের সাবেক হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন চৌধুরীর স্নেহভাজন রায়হান বাদশা। তার পদোন্নতি হয়েছে একেরপরএক। আওয়ামী লীগ সরকার পতন ঘটেছে, শেখ হাসিনাকে পালাতে হয়েছে কিন্তু প্রকৌশলীদের রাজ্যে রায়হান বাদশা এখনো ‘বাদশা’ই আছেন।

ড. ইউনূস সরকারের আমলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর (রুটিন) দায়িত্ব পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা রায়হাান বাদশা। যদিও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের বাতায়নে রুটিন শব্দ ব্যবহারের ধার ধারেননি তিনি। বাতায়নে শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিবের পরই তার পদবি লিখেছেন প্রধান প্রকৌশলী! 

রায়হান বাদশা ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্বের আছেন টানা আট বছর। তার মূল পদ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। সিনিয়র হিসেবে ক’বছর আগেই দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী চলতি দায়িত্বও। পদ তিনটি। তবে গাড়ি ব্যবহার করেন মাত্র ২টি।

তিন পদের বদৌলতে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ, বিলিবণ্টন হয়েছে তার হাত দিয়েই। শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে দলীয় ঠিকাদারদের প্রতি সুনজর রেখেছেন, এখনো রাখছেন। তাছাড়া গোপালগঞ্জের জামাতা হিসেবে আওয়ামীপন্থিদের প্রতি খেয়ালের মাত্রাটাও বেশ প্রশংসনীয় ছিল রায়হান বাদশার। দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি সদয় হয়ে সবাইকে সন্তুষ্ট রেখেই টেন্ডারগুলো দিয়েছেন। আসন্ন বরাদ্দও পাবেন তার কলমের খোঁচাতেই। 

বিধিমতে, রায়হান বাদশা আরও ক্ষমতাধর হতে পেতে তার দুটো পদোন্নতির প্রয়োজন। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পূর্ণ পদ। এরপরই প্রধান প্রকৌশলী। তাতে রুটিন দায়িত্ব শব্দটি প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই অধিদফতরের সকল ক্ষমতা আসবে তার কলমে। দলের প্রতি, তার নেত্রীর প্রতি এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার নিদর্শনও দেখিয়েছেন প্রকাশ্যে।

৫ আগষ্টের পর চেয়ারে বসেই যে চিঠি মন্ত্রণালয়কে দিয়েছেন তাতে ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ছবিযুক্ত লোগো। তাতে স্লোগান ছিল ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’। তাতে কোনো কটু শব্দও শুনতে হয়নি বাদশার।

রায়হান বাদশার নেতৃত্বে গোপন বৈঠক

ইন্ডিয়ায় আত্মগোপনে থাকা শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিল ১০ নভেম্বর শহীদ নুর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি লাঠিতে বেধে রাস্তায় নামার। এদিন মতিঝিলে ঝটিকা মিছিলও হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর থেকে কর্মী-সমর্থকদের মিছিল নিয়ে বের হওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তবে ওইদিন গোপন বৈঠক করেছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের চার সংগঠনের শীর্ষ আট নেতা। 

রায়হান বাদশার নেতৃত্বে তার অফিসের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। ওই আট নেতার বাইরে অন্যদের কারো প্রবেশের অনুমতি ছিল না। ওই বৈঠকে আলোচনার বিস্তারিত পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকেই নানা আলোচনা হচ্ছে অধিদফতরে। নিরাপত্তাহীনতার জন্য কৌশলী পথে হাঁটছেন অনেকেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মধ্য সারির এক নেতা এ প্রতিবেদককে জানান, ওইদিন রায়হান বাদশার নেতৃত্বে মিটিং হয়েছে। তারা নেত্রীর নির্দেশ পালন, চলতি সময়ে কোন কৌশল নিলে ঐক্যবদ্ধ থাকা যায় এবং অন্তত এখানকার নেতাকর্মীদের নিরাপদ রাখা এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেখানে রায়হান বাদশার ব্যক্তিগত কিছু ইস্যুও উঠে এসেছে।  

এবারকার আলোচিত ১০ নভেম্বরের বৈঠক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা বলেন, আমি ছোট সংগঠনের নেতা। স্যারদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সব জানি না। তারা নির্দেশ দিলে আমরা তা পালন করি। তাদের বাইরে গেলে কি চাকরি থাকবে? 

ওই নেতার অনুমান কৌশলগত কারণেই গোপননীয়তা অনুসরন করে এদিন বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে রায়হান বাদশার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাতে একটি রেজুলেশন লেখা হয়েছে। এটিও শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। 

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের দুই সদস্যের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ওইদিন মিটিং হবে তা জানানো হয়নি। তাছাড়াও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে যখন যিনি দায়িত্বে আসেন তার ইচ্ছার শতভাগ প্রতিফলিত হয়। উল্টো বা বিপরীত বললেই বদলি। আগে ছিল মজুমদার ( দেলোয়ার হোসেন মজুমদার) জমানা আর এখন বাদশা’র (রায়হান বাদশা) জমানা চলছে।

উপর থেকে নির্দেশ আসে তার কাছেই। সিদ্ধান্তও তিনি নেন। গত ১৭ বছর তিনি যেমন ছিলেন, এখন তার চেয়েও ভালো আছেন। পদ তো একাই তিনটা বাগিয়েছেন। একজনের জন্য গাড়ি দুইটা বরাদ্দ। আর আমরা আছি পালিয়ে, পালিয়ে। এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন পালিয়ে থাকা আওয়ামীপন্থি এ দুই নেতা।    

বিএনপি-জামায়াতের চোখে কে এই রায়হান বাদশা

এ আদর্শিক নেতার প্রতি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের যেমন সু-নজর ছিল এবং বহমান, তেমনই কর্মী-সমর্থকদের ভালোবাসার ঘাটতি নেই রায়হান বাদশার প্রতি। তার আমলনামা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক সংগ্রামে। শিরোনাম “দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা এখন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান”। তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪। পত্রিকাটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র হিসেবে পরিচিত।

বিএনপি আমলে সাজা পাওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দলটির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক দিনকালেও। এ পত্রিকার শিরোনাম ছিল, “বিতর্কিত রায়হান বাদশাই হলেন ইইডির প্রধান প্রকৌশলী” তারিখ ১২/৯/২০২৪। পত্রিকা দুটি আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল। তাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক রায়হান বাদশার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে দাবি রায়হানপন্থি প্রকৌশলীদের। তবে এছাড়াও তা স্বরূপ প্রকাশ করেছে দৈনিক আজকের পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকা ‘বাহান্ন নিউজ’। 

আট নেতার পরিচয়

এসব সংবাদের প্রতিবাদ জানানোটা ছিল কৌশলের। নিজ দলীয় নেতানেত্রী ও সরকারকে পতিত আখ্যা দিয়েছেন তারা। প্রতিবাদ লিপিতে লিখেছেন, পতিত স্বৈরাচারী সরকারের সুবিধাভোগী সাবেক ২ প্রকৌশলী তাদের নিজস্বার্থ চরিতার্থে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী ও সিনিয়র প্রকৌশলীদের সম্মতি ছাড়াই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ গঠন। তা বাতিলও করেছিল।

প্রতিবাদ লিপির সঙ্গে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত ( তাং ১/৮/২০২৩) সাত সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি যুক্ত করা হয়েছে। তাতে রায়হান বাদশার নাম নেই।  

আপন দেশ’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংযুক্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল কিন্তু তা কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদনই দেয়নি। ফলে ১৭ জুলাই ২০২২ সালের কমিটিই বহাল রয়েছে। বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদিত ১৩ সদস্যের ওই আহবায়ক কমিটিতে রায়হান বাদশা ২ নম্বর সদস্য। প্রকৌশলী আফরোজা বেগম ৩ নম্বর সদস্য।  

এদিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর যখন রায়হান বাদশার প্রমোশন আটকে যাচ্ছে তখন অধিদফতরের চার সংগঠনের ব্যানারে পাশে দাঁড়িয়েছেন তার দলীয় নেতারা। যারা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি/সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের প্রভাবশালী নেতা। 

বৈঠক শেষে প্রতিবাদলিপিতে সই করেছেন- ৮) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-১ আফরোজা বেগম। যিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের তৃতীয় নেতা। ৭) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইইডিইএ) সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান। ৫ আগস্টের পর নাটোরে বদলি হলেও এখনো প্রধান কার্যালয়েই বসছেন পরিষদের এ নেতা। ৬) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (ইইডিইডিপ্রস) সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। যিনি বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি। ৫) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির (ইইডিইডিপ্রস) সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী সিকদার। যিনি এখনো বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। ৪) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর গাড়ি চালক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান। দলের পরীক্ষিত সৈনিক এবং বিশ্বস্ত। সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তাকে ৬ বছর গাড়ি চালক হিসেবে বাছাই করেছিলেন। ৩) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর গাড়ি চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের। শিক্ষামন্ত্রী কারাবিন্দি দীপু মনির বিশ্বস্ত সৈনিক। ৫ বছর আব্দুল কাদেরকে রেখেছিলেন চালক হিসেবে। ২) লোকমান হোসেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মচারী সমিতির সভাপতি। চাকরির পুরোটা সময়ই প্রধান কার্যালয়ে থাকার সুযোগ মিলেছে নেতৃত্ব ও মিছিল-মিটিং করার বদৌলতে। ১) মাসুদ মিয়াজী কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। দলীয় নেতা হওয়ার কারণে দীর্ঘ দুই দশক প্রধান কার্যালয়ে আছেন।

গোপন বৈঠকের পর সই করা প্রতিবাদ লিপিতে স্বাক্ষর ও পদবি আছে কিন্তু নেতার নাম উল্লেখ নেই।

আরও পড়ুন<<>> মতিঝিলে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, এবি ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী সিকদার এ প্রতিবেদককে বলেন, ১০ নভেম্বর আমরা মিটিং করেছি। সই করেছি। এর চেয়ে বেশি বলতে নারাজ তিনি।

গাড়ি চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বলেন, মিটিং করেছি। স্যারেরা লেখালেখি করেছেন আমি সই করেছি। আমরা গাড়ি চালাই, ছোট চাকরি। আমাদের আর কী বলার আছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির গাড়ি ৫ বছর চালিয়েছেন বলে জানান এ চালক।

এ প্রসঙ্গে কথা বলছে প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্বে) রায়হান বাদশার মোবাইলে (০১৭১২ **৩২) একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। 

অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠক নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরসহ শিক্ষামন্ত্রণালয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। সন্দেহের ডালপালা গড়াচ্ছে বিভিন্ন দিকে। ওইদিন মতিঝিলে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের সঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ওই বৈঠকের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঝটিকা মিছিল নিয়ে মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ১১ তাং-১২/১১/২০২৪। তাতে নামীয় আসামি ৩১ এবং অজ্ঞাত আরও ১২০জন।   

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়