Apan Desh | আপন দেশ

‘চিম্ময়ের মুক্তি চাওয়া ভারতের উলম্ব অভিযান’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৮:৩৩, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

‘চিম্ময়ের মুক্তি চাওয়া ভারতের উলম্ব অভিযান’ 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ করে একটি সংগঠন। যাদের বৈধতা আছে কিনা এ সম্পর্কেও বাংলাদেশের মানুষ অবহিত নয়। তাদের একজন নেতা যার বিতর্কিত আচার-আচরণের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশের ভেতরের কেউ কেউ এবং বাইরে থেকে সে বিতর্কিত নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদ করছেন। এ প্রতিবাদ আসাটাই সারা দেশের মানুষকে একধরনের দুশ্চিন্তার মাঝে ফেলেছে। মানুষ বিস্মিত হয়ে বিষয়টি লক্ষ্য করছে। এসব কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ তার নিজস্ব মেরুদণ্ডের উপর ভর করে দাঁড়াক, তা কখনই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র চায়নি উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, চায়নি বলেই তারা শেখ হাসিনার পতনকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাই তাদের অশ্বমেধ যজ্ঞ করার কিছু মানুষকে এদেশে পাঠিয়ে দিয়ে চক্রান্ত করছেন। তাদের জন্য তারা বিলাপ করছেন। তারা আটক হলে আক্ষেপ করছেন, প্রতিবাদ করছে। চিম্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি ভারতের উলম্ব অভিযান।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের স্বার্থে কখনই কাজ করেনি। বাংলাদেশ মরে যাক, ধ্বংস হোক; এতে তাদের কিছু আসে যায় না। এটি হচ্ছে দিল্লির ঘোষিত নীতি। শেখ হাসিনা থাকলে তাদের অনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন করতে কোনও বিঘ্ন হতো না। এ দেশের গণতন্ত্রমনা মানুষ, জাতীয়তাবাদী শক্তি তারা যেহেতু কিছুটা স্পেস পেয়েছে। গণতন্ত্র এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে। বিশুদ্ধ বাতাস নিতে পারছ। এ জিনিসগুলো পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের ভালো লাগছে না।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, এ জাতির সার্বভৌমত্ব, বিশেষ করে বায়ান্ন (১৯৫২) থেকে শুরু করে সবশেষ ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে অর্জনগুলো, সে অর্জনকে অবমাননা করা হচ্ছে। এটি কখনও এ দেশের জনগণ মেনে নিতে পারে না। তাদের আচরণ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশের ভেতরে একটি ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের ব্যানারে কী হচ্ছে, কারা করাচ্ছে?
 
আমরা বারবার পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের কিছু বিষয় নিয়ে যে সমালোচনা করতাম, তাদের অন্যায়ের যে প্রতিবাদ করতাম এটি যে ন্যায়সঙ্গত। এ ঘটনার মাধ্যমে তা আবারও প্রমাণিত হলো। বিএনপি সবসময় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করেছে। শুধু আমাদের দেশের পরিবেশবিদরাই নয়, ভারতের পরিবেশেবিদরাও বলেছে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা যখন দেখলেন সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখনই এ প্রকল্পের অনুমতি দিয়ে দিলো।

২০১৬ সাল থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়, ২০২২ সালে তা ব্যবহার উপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমাদের যে আশঙ্কা ছিল, তা আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। নদীর মাছ মরে যাচ্ছে, গাছগাছালি বিনষ্ট হচ্ছে। শুধু পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করার জন্য, তাদের ব্যবসায়ীদের খুশি করার জন্য শেখ হাসিনা কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাজি হয়েছে।

আপন দেশ/কেএইচ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়