ছবি: আপন দেশ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ব্যতিক্রমী সখ্যতা দেখা যাচ্ছে। সমালোচনা বিহীন সর্বদলীয় শিক্ষার্থীদের মঞ্চের এ নেতাকে নিয়ে ছাত্র-জনতার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন।
গত জুলাই গণআন্দোলনে সমন্বয়কদের ওপর ছাত্র-জনতা যে আস্থা রেখেছিল তাতে চিড় ধরেছে। হাসনাত আব্দুল্লাহর কাজকর্মে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ তাকে যেভাবে প্রশংসায় ভাসাচ্ছিলেন, তার ডাকে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন তারাই এখন সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই হাসানাতদের নিয়ে মানুষের ধারণা পাল্টাতে থাকে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের তিনি একজন। সাধারণ মানুষ চায়, দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি হবেন সর্বজনের। কিন্তু তার চলন-বচন তাকে নিয়ে যাচ্ছে সাধারণদের প্রত্যাশার বিপরীতগলিতে।
গত ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ পালন’ করেছিল জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ছাত্র শিবির। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মসূচি। পরস্পরের মতবিনিময় শেষে ছিল প্রীতিভোজ। তাতে অংশ নিয়েছিল ৩৯টি ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি।তারা সবাই কোনো না কোনো গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের কব্জায়। এ অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। বক্তব্যও দিয়েছেন। পরদিন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রচার-প্রকাশিত হয় ফলাও করে। এ চিত্র-দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। তাকে শিবিরের অনুষ্ঠানে মধ্যমণিতে দেখে অনেকেই নানা প্রশ্ন তুলেছেন।
স্বৈরাচারের দোসর খ্যাত ছাত্র লীগ এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে। হালে মাঠে ছাত্রদল। তাদেরকে নিয়ে অসংখ্যবার কটাক্ষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন হাসনাতরা। এমনকি ‘ভালো হবার’ পরামর্শও দিয়েছেন ফেসবুকের আইডিতে। এখন শিবিরের মঞ্চে তিনি। ওই সংগঠনের গুণগানও গাইলেন। এরপর থেকে হাসনাতকে নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন- হাসনাত আসলেই কার?
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।