বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদ হাসান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান ফিরে এসেছেন। নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হলে ফেরেন। এ সময় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীরা খালেদকে তার কক্ষে নিয়ে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ ভয়ে কিছু বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদ হাসান ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। আমি তার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চাইলে সে আমাকে তার গুম হওয়ার ঘটনা জানায়।
আব্দুল কাদের জানান, খালেদের ভাষ্যমতে- শুক্রবার বিকালের দিকে টিএসসি থেকে রিকশায় করে দোয়েল চত্বরের দিকে যাবার সময় রিকশাযতেই তিনি জ্ঞান হারান। পরবর্তীতে তিনি যখন জ্ঞান ফিরে পান নিজেকে সুনামগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে মাইক্রোবাসে দেখতে পান। এ সময় তার সঙ্গে আরও ২-৩ জন ছিল। পরবর্তীতে তিনি ফের জ্ঞান হারান।
দ্বিতীয়বার যখন খালেদ জ্ঞান ফিরে পান তখন নিজেকে পঞ্চগড়ের কোনো একটা জায়গায় দেখতে পান। তখনও মাইক্রোবাস চলমান ছিল। তৃতীয়বার মঙ্গলবার যখন তার জ্ঞান ফিরে আসে, তখন তিনি নিজেকে বরিশালের এক রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে কেউ একজন গাড়িতে তুলে দিলে ঢাকায় পৌঁছে হলে ফিরে আসেন খালেদ।
কাদের আরও বলেন, খালেদের মানসিক অবস্থা ভালো না। কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে এসেছি।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ বলেন, আমি খালেদের সঙ্গে কথা বলেছি। সে কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু ভয়ে বলতে পারছে না। তাকে খুব দুর্বল দেখাচ্ছে। পরে আমি ডাক্তার নিয়ে আসলে তার ব্লাড প্রেশার বেড়েছে বলে ডাক্তার জানায়। এখন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে সে সবাইকে ঘটনার বিস্তারিত বলতে পারবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।