বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রাহমান
যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত দ্য লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। পুত্র তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রাহমান ও নাতনিদের সান্নিধ্যে মানষিকভাবে বেশ চাঙ্গা সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
লন্ডনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ খালেদা জিয়া যথেষ্ট ভালো আছেন। ডাক্তররা দেখে গেছেন। বলতে পারি বৃহস্পতিবারের চেয়ে তিনি আজ আরও ভালো আছেন। তার স্বাস্থ্যের উন্নিত হচ্ছে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আজ তো শনিবার (১১ জানুয়ারি), এখানে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। লন্ডনে আজকে ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ডাক্তাররা নিয়মিত যত্নসহকারে খালেদা জিয়াকে দেখছেন। তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলমান। তিনি পরিবারের সবার সঙ্গে সময় দিচ্ছেন। অনেক হাসি-খুশি আছেন। আপনারা খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, লন্ডন ক্লিনিকের ডাক্তাররা শুক্রবার থেকে বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু করেছে। এর আগের দু’দিন পরীক্ষা নিরিক্ষা করেছেন। তার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত দেবেন।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়া অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন। তার ছেলে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় তার মায়ের কাছে থাকছেন। এ ছাড়াও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রাহমান ও নাতনিরা রয়েছেন। এমনকি লন্ডন ক্লিনিকের ডাক্তাররাও সবসময়ই তার খোঁজখবর রাখছেন।
বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইংল্যান্ডের ‘মধ্য-পশ্চিম লন্ডনের’ মেরিলিবন রোডে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। বিশেষায়িত এ হাসপাতালে তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডা. প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি’র পাঠানো একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। কাতার হয়ে বুধবার বাংলাদেশ সময় ২টা ৫৫ মিনিটে ও স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পৌঁছান তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষ হলে সেখান থেকে সরাসরি তাকে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে নেয়া হয়। এরপর বিগত সময়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল রিপোর্ট পর্যালোচনার পর প্রফেসর কেনেডির অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।