Apan Desh | আপন দেশ

প্রতিদিন একজন উপদেষ্টা হাসপাতালে যাওয়া উচিত: কায়কোবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:০২, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৯:২১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

প্রতিদিন একজন উপদেষ্টা হাসপাতালে যাওয়া উচিত: কায়কোবাদ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ৫ বারের এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নিতে প্রতিদিন একজন করে উপদেষ্টা হাসপাতালে যাওয়া উচিত। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ৫ বারের এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) ও জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখতে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

তিনি বলেন, এখানে এসে আমি বাকরুদ্ধ।  কি নির্মমভাবে নির্যাতন করে তরুণ ছেলেদের পঙ্গু করে দিয়েছে জালিম স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকার। এখনো আহতরা পরিপূর্ণ চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের অবিলম্বে যথার্থ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। 

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আস্থা রেখে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার অনেক আন্তরিক। আমি অনুরোধ করব প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার আগে একজন করে উপদেষ্টা যেন হাসপাতালে আসেন। এতে করে আহতরা উৎসাহ, সাহস পাবে এবং হাসপাতালের ডাক্তার ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরাও যথার্থ চিকিৎসা দিতে বাধ্য থাকবে। 

সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ পবিত্র জমজমের পানি, খেজুর ও ফল নিয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে  দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আহত ছাত্র জনতাকে দেখতে যান।

সাবেক এ মন্ত্রীকে পেয়ে মনোবল ফিরে পেয়েছে আহতরা। নিজেদের মনের আক্ষেপ জানালেন এ নেতার কাছে। তাদের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে যথার্থ চিকিৎসা ও মর্যাদার আশ্বাস দেন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। 

পুলিশের গুলিতে দু'চোখ হারানো জামাল হোসেন বলেন, আপনার কথা অনেক শোনেছি। আপনাকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। তবে আজ এমন এক সময়ে আপনাকে কাছে পেলাম যখন আমি পুলিশের গুলিতে অন্ধ।

হাসপাতালে চিকিৎসারত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক হিল্লোল বলেন, আমি দেশের ৫ জন নেতাকে আইডল মানি। তার মধ্যে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ অন্যতম। স্যার আপনি এসেছেন আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনার কাছে অনুরোধ আমাদের উপর যেন বৈষম্য না হয়।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থী  বলেন, স্যার,আপনি নিজেই তো আমাদের মত নির্যাতিত। দীর্ঘ ১৩ বছর দেশে আসতে পারেননি। আপনাকে আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। আপনি আসাতে আমরা ধন্য। কিন্তুু আমাদের আন্দোলনে যারা আজ উপদেষ্টা। তারা তো আমাদের দেখতে আসেনা, বরং ক্যাটাগরির মাধ্যমে বৈষম্য তৈরি করছে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ মুরাদনগরের ৭ পরিবারকে প্রথম পর্বে ৫০ হাজার করে এবং ২য় পর্বে ১০ হাজার এবং ৩ টি পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেন সাবেক মন্ত্রী ও ৫ বারের এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। এছাড়াও মুরাদনগরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা খরচ এবং ঢাকা এনে চিকিৎসা সেবা দেন তিনি।

আপন দেশ/এসএমএস

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়