
ফাইল ছবি
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকেই উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে চলেছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য অনুশোচনা না করে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন তিনি। এতে ক্ষোভ-অসন্তোষ বাড়াচ্ছে জনমনে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ০৫ ফেব্রয়ারি রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে থেকে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতি ছাত্রদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র জনতা। তারা ধানমন্ডি ৩২ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে হামলা করে।
এসব হামলা-ভাঙচুর আওয়ামী লীগের শাসনামলে হওয়া হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতনের পরিণতি বলে মনে করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, কী নির্মম পরিণতি ১৫ বছরের হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোটাধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, লাখ লাখ কোটি টাকা পাচারের। জুলাই-অগাস্ট গণহত্যা করে আত্মোপলব্ধি, আত্মসমালোচনা, অনুশোচনা না করে, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করে, শত শত মানুষকে অন্ধ করে ক্ষমা না চেয়ে আবার বিদেশে বসে এখন আন্দোলনের ডাক দিলে আর কী পরিণতি হতে পারে!
গত বুধবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বুধবার রাত ৮টার দিকে বাড়িটিতে প্রবেশ করেন তারা। এরপর বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। একই সঙ্গে প্রবেশমুখে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়।
ওই রাতে এবং পরদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।