Apan Desh | আপন দেশ

কী কারণে ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙ্গা ঠিক হয়েছে জানাল বিএনপির ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কী কারণে ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙ্গা ঠিক হয়েছে জানাল বিএনপির ফারুক

ছবি: আপন দেশ

যে ৩২ নম্বর থেকে গুম খুনের নির্দেশ যেতো তা ভেঙ্গে ফেলা ঠিক হয়েছে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর একটি অভিশপ্ত বাড়ী। এ বাড়ী থেকে এমন কোন অন্যায় নির্দেশনা নেই যা দেয়া হয়নি। সংসদের সামনে আমাকে ডিবি হারুন নির্যাতন করে এ বাড়িতেই সে খবর পৌছে দিয়েছিল। এসব অভিযোগ করেছেন সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ, বিএনপি চেয়ারপাররসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক।  রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

অবিলম্বে নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কার শেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচির আয়োজন করে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন নামের সংগঠন।

২০১১ সালে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদিন ফারুককে সংসদ ভবনের সামনে বেদম মারধর করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার তাকে মারপিট করে।  

ফারুক বলেন, পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট কিভাবে ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি করেন? সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা কি করেন? তার উস্কানীমূলক বক্তব্যের কারণেই দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করেছে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হবে। তাদেরকে কোনভাবেই ব্যর্থ করতে দেয়া যাবে না। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে প্রজ্ঞা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা শুধু প্রশংসার দাবিদার না, বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক দুরদর্শিতার পরিচয় বহন করে। 

প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনি একজন ভালো মানুষ, প্রজ্ঞাবান মানুষ। সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হলে আরো দেশ গভীর সংকটে পড়ে যাবে। অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিন। দোসররা তখন আর কোন সুযোগ নিতে পারবে না।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটন। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বিএনপি সহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাইফ আলী খান, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, এনডিপি’র মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রমিজ উদ্দিন রুমি, পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিলকিছ ইসলাম, পল্টন থানা বিএনপি নেতা ফিরোজ পাটোয়ারী প্রমুখ।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়