
ছবি: আপন দেশ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হচ্ছে সরকার পরিবর্তনের প্রধান উপায়। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বাদ দিয়ে অন্য বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, অনেকে পূর্বের উদাহরণ টানেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুর উদাহরণ সরকারের উদাহরণের সঙ্গে এক হতে পারে না। এটা একটি বিপ্লবী জনসমর্থিত সরকার। তাই নিশ্চিত করতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থপতি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা যার হাতে তিনি ইচ্ছে করলে সবকিছু করতে পারেন। আমার মনে হয়, এ জায়গাটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের সময়, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের সময় এমন একটা পদ্ধতি থাকা দরকার যারা সরকারে থাকবে, সে সরকারটা অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকবে।
আরও পড়ুন>>>এতো হত্যাকাণ্ড চালানোর পরও শেখ হাসনিার অনুশোচনা নেই: রিজভী
দলীয় সরকারে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দলীয় সরকার থাকলে নির্বাচনে সমূহ সম্ভাবনা আছে হস্তক্ষেপ করার। যেটার গত ১৫-১৬ বছরে এটা প্রমাণিত হয়েছে। যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের দরকার মানসিক পরিবর্তনের।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, যিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবেন তার মনমানসিকতা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অনুকূলে না হয়, তাহলে আমি কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন না। এজন্য আমি প্রথমে বলেছিলাম-বিষয়টা শুধু আইনি সংস্কার নয়।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।