Apan Desh | আপন দেশ

‘বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবেশী দেশের কোনো অন্যায্যতা দেখতে চায় না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:১১, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ২১:৪৬, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবেশী দেশের কোনো অন্যায্যতা দেখতে চায় না’

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবেশী দেশ থেকে আরও অন্যায্যতা দেখতে চায় না। ফেলানীর ঝুলন্ত মরদেহ আর দেখতে চায় না। এদেশের মানুষ মনে করে, প্রতিবেশী দেশের (ভারত) সঙ্গে আমাদের যে অন্যায্য চুক্তি আছে, সেগুলো বাতিল করতে হবে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা করতে হবে। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদীর পারের পাঁচটি জেলার ১১টি পয়েন্টে তিস্তা পানির নায্য হিসসা ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে টানা ৪৮ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, প্রতিবেশী দেশ যদি আমাদের তিস্তা ন্যায্যতা না দেয়, তাহলে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। আমাদেরটা আমাদেরই চিন্তা করতে হবে। দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন, আগষ্টে খুনি স্বৈরাচারী দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এ স্বৈরাচার একদিন একটি কথা বলেছিল, ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা (ভারত) সারা জীবন মনে রাখবে। তাই ভারত শুধু স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে, বাংলার মানুষকে মনে রাখেনি। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে কিছু দেয় নাই শুধু দিয়েছে স্বৈরাচারকে। প্রতিটি দেশেরই তাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বা ঝামেলা থাকে। কিন্তু সেগুলোকে কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা হয়৷ যেটা আমাদের এখানে এতদিন হয় নি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, তিস্তার ন্যায্য পানি আদায়ের জন্য আজ আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। এ পানি বন্টন নিয়ে ভারত আমাদের সঙ্গে অপ্রতিবেশী মূলক আচরণ করছে। ৫০ বছর ধরে ফারাক্কার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাই নাই। এখন আবার এসেছে তিস্তার অভিশাপ। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশের অপ্রতিবেশী মূলক আচরণের কারণে আজ তিস্তা পারের লাখো মানুষ বন্যায় এবং খরা জীবনযাপন করছে। এর ফলে লাখ লাখ টাকার সরিষার ক্ষতি হচ্ছে।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিস্তার বিষয়টি অগ্রধিকার ভিত্তিতে দেখবে উল্লেখ তারেক রহমান বলেন, পাশাপাশি দেশের অন্যান্য যে সকল নদী আছে, সেগুলো আমাদের পুনরায় সংস্কার এবং খনন করতে হবে। শহীদ জিয়ার খাল খানন কর্মসূচি আমাদের পুনরায় হাতে নিতে হবে। 

গত ১৫টি বছর স্বৈরাচার সরকার নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচার ৫ই আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের মানুষের সম্ভাবনা এবং সুযোগ তৈরি হয়েছে। সরকারের কোনো হটকারী সিদ্ধান্তে বা অসর্তকতায় খুনি ফ্যাসিস্ট সরকারের কেউ যেন পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। 

দুদিন ধরে তিস্তা পারের মানুষ যে আন্দোলন করছে, এটা বৃথা যাবে না জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, তিস্তাকে রক্ষা করতে হলে তিস্তাবাসীকে একটি দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর সেটি হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনাদের পছন্দের দলে ভোট দিতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেখেছে মানুষের ঐক্যবদ্ধতা। কিভাবে তারা একটি সংকটে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করেছে। আপনারা যেভাবে বলেছেন, জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও। একইভাবে আমাদের বাংলাদেশের সকলকে বলতে হবে জাগো বাহে বাংলাদেশ বাঁচাও।

আপন দেশ/এমএস

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়