
ছবি: আপন দেশ
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহকে ‘পরাজিত শত্রুর ষড়যন্ত্র’। এ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না, বরং একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেই এই ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আগ্রাসন প্রতিরোধ আন্তর্জাতিক আন্দোলন’ কমিটি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশটি ২৫ ফেব্রুয়ারির বিডিআর ট্রাজেডির প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজন করা হয়।
গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতেই পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তি ফ্যাসিবাদী সরকারের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে। এটি ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর চরম আঘাত আনতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। এটি নিছক বিদ্রোহ নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে দেশকে চোরাবালির দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র ছিল এটি।
পিলখানার সে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারী ও মাস্টারমাইন্ডরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। যারা এ ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিল, তারা সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সেদিন সেনাবাহিনী চাইলে এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে পারত। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি মোকাবিলার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। দরবার হলের পাশে র্যাবের একটি পেট্রোল টিম থাকলেও তাদের পিলখানায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীন। এতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মুভমেন্ট ফর প্যালেস্টাইন বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর হারুন অর রশিদ খান, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদারসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা সেসব সন্তানদের প্রতি লজ্জিত, যারা পিলখানার হত্যাযজ্ঞে পিতামাতা হারিয়েছেন, যারা স্বামী হারিয়েছেন। যতদিন এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত না হবে, ততদিন স্বজনহারাদের কষ্ট দূর হবে না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই জাতি কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।