
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
প্রায় সাত বছর পর মুক্ত পরিবেশে হতে যাচ্ছে বিএনপি’র বর্ধিত সভা। বৃহষ্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল মাঠে বসছে গুরুত্বপূর্ণ এ সভা। যেটিকে অনেকে দেখছেন দলের ছায়া কাউন্সিল হিসেবে। বিশেষ এ সভায় অংশ নেবেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও দলের উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও। প্রায় ৪ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ই সভা থেকে আগামী নির্বাচন, আন্দোলনের প্রস্তুতিসহ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারিত হবে। তৃণমূলের বক্তব্য শুনবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দেবেন নতুন বার্তাও।
এর আগে, ২০১৮ সালে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার পাঁচদিন আগে জরুরিভাবে নির্বাহী কমিটির সভা হয়েছিলো রাজধানীর একটি হোটেলে। গ্রেফতার আতঙ্কে তাড়াহুড়ো করে সীমিত পরিসরে সেটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, ২০১৬ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির কাউন্সিল।
গত বছরের ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটি আবার সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির বর্ধিত সভা।
বিএনপির ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদেত দুঃশাসনের কারণে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তেমনভাবে করা সম্ভব হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর সারা বাংলাদেশে দলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি।
আরও পড়ুন<<>> নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের অস্থিরতা দূর হবে: তারেক রহমান
জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল মাঠে চলছে আয়োজনের নানা প্রস্তুতি। নিয়মিত পরিদর্শন আর তদারকি করছে দলের দায়িত্বশীল নেতারা। তারা জানান, এই সভায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতকে প্রাধান্য দিবে বিএনপি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল বলেন, দলের রাজনীতি মাঠে যারা করেন, তাদের মতামত কি কিংবা তারা কি চিন্তা করছে; সেটিকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক মওদুদ আলমগীর পাভেল জানান, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মতামতগুলো তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেয়া হয়। চলমান ষড়যন্ত্র দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক। সবগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করাই হলো এ বর্ধিত সভার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
যেকোনো ষড়যন্ত্রের মুখে নিজেদের ঐক্য অটুট রাখার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে এ সভায়। নেতারা জানান, দলের কর্মপরিকল্পনা, আগামী নির্বাচন আর প্রয়োজনে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা থাকবে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আরও বলেন, সবকিছু মিলে সাংগঠনিক দক্ষতাকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। সেই সাথে একটি স্লোগানকে প্রাধান্য দিচ্ছি ‘ সুদৃঢ় ঐক্যই রুখে দিতে পারে সকল ষড়যন্ত্র।’
বর্ধিত সভাকে ঘিরে বিএনপির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উৎসাহ আর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তার।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।