ছবি: আপন দেশ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের জনগণ ১৬ বছর ধরে ভোটের অপেক্ষায়। কিন্তু নানা অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। কেউ বলছেন সংস্কার করে তারপর নির্বাচন হবে। কিন্তু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যা কোনো সরকারের একার পক্ষে বা স্বল্প সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। প্রায় ৮ মাস হয়ে গেলেও বর্তমান সরকার কোনো স্পষ্ট সংস্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারেনি।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণীতে বিএনপি বিটের সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ ইফতারের আয়োজন করে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু আমরা দেখছি, পতিত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার বিদেশে গিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। দেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এ সরকার যারা জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল হিসেবে এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করেছিল যে, জনগণের অধিকার তারা প্রতিষ্ঠা করবে। জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে আমরা বুঝি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ১৫ বছরে দেশকে ধ্বংস করে গেছে। সংস্কার ও মেরামতের দায়িত্ব জনগণের নির্বাচিত সরকারের। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হলো নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়া। যাতে জনগণ তাদের প্রতিনিধি ঠিক করতে পারে। তাই অবিলম্বে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে হবে। জনগণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হলে, ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ মেনে নেবে না জনগণ।
এ অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সংস্কার দীর্ঘমেয়াদি বা স্বল্পমেয়াদি কোনো বিষয় নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যারা সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করছে, তারা মূলত সময়ক্ষেপণ করছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি গণতন্ত্রকামী দলগুলোর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন উপদেষ্টা নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন>>>গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে যা বললেন রাজনৈতিক নেতারা
রিজভী সাংবাদিকদের প্রশংসা করে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে সাংবাদিকদের তৎপরতার কারণেই অনেক নেতাকর্মী গুমের হাত থেকে বেঁচেছেন। রাতে ২-৩টার সময়ও সাংবাদিকরা সংবাদ প্রচার করেছেন। যা নিপীড়নের বিরুদ্ধে বড় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী , ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আবু আফসান মো ইয়াহিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
