
ছবি সংগৃহীত
দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জামালপুর জেলা ছাত্রদলের সংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম সুমনকে কারণ দর্শানো নোটিস দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জামালপুর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব ও সাধারন সম্পাদক নাছির উদ্দিনের নাছিরের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখা প্রদানে নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন<<>> জামালপুরে ইউএনওর স্ত্রীর ওপর ছাত্রদল নেতার হামলা
স্থানীয় ও দলীয় সুত্রে জানা যায়, গত ১২ মার্চ (বৃহস্পতিবার) শহরের রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন শাহপুর এলাকায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠিক সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম সুমনের নেত্বেত্বে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার ইউএনও ইমদাদুল হকের শশুর বাড়িতে লাঠি সোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। জমি বেদখল দিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আরিফুল আলম চিকু ও তার লোকজন বাড়িঘর ভাঙচুর করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। এসময় ইউএনওর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যা থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আরিফুল আলম চিকুকে আটক করে। পরে তাকে ভ্যানে উঠিয়ে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে চিকুর মামাতো ভাই জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল করিম সুমন লোকজন নিয়ে চিকুকে ছিনিয়ে নেয়। তখন সুমন জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যাকে গলা চেপে মেরে ফেলার হুমকি দেন। অকথ্যভাষায় গালমন্দ করেন। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিন পুলিশ তাদের গাড়ি করে বন্যাকে অন্যত্র সরিয়ে নেন।
আরও পড়ুন<<>> জামালপুরে চাঁদার ৩৫ লাখ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ, বিএনপি অফিস ভাচুর
ঘটনার দিন ১২ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যা বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করতে যান। কিন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ। ঘটনার পরদিন (১৩ মার্চ) ব্যাক ডেটে মামলা আমলে নেয় ওসি আবু ফয়সল মোহাম্নদ আতিক।
এ নিয়ে আপন দেশসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে যাচ্ছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে ঘোসণা দিয়েছেন, ‘যাদের কারণে দল ও দলীয় ইমেজ ক্ষুন্ন হবে তাদেরকে রাখা হবে না’। এমন নির্দেশনার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, দখল ও স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের অভিযোগে অনেক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।