Apan Desh | আপন দেশ

জনগণই বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:০১, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১৭:২৪, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

জনগণই বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ভারত-আমেরিকা ও চীন নয়, জনগণই বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৯ এপ্রিল) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশের ক্ষমতায়ন: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের শী, ভারতের মোদি এসে ধাক্কা দিয়ে কিছু করে যাবে না, যা করার আমাদের করতে হবে। তিনি বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, হতেও হবে। যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে সবাই এক হয়েছিল সেভাবে এক হয়ে কাজ করতে আহ্বান তার।

বিএনপি মহাসচিব বলনে, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশের পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ ভালো হবে, খুব ভালো হবে। সবাই এখন ভিন্ন দিকে নজর দিচ্ছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ট্যারিফ দিয়েছে তা দেশের জন্য একটু বিপদে পড়ার মতোই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বাড়তি শুল্ক দ্রুত সমাধান করতে না পারলে সমস্যা আরও বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন।

সভায় মির্জা ফখরুল দেশের কৃষিখাতে নজর দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, কৃষকদের প্রতি গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে৷ মাঠেঘাটে যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে৷

তিনি আরও বলনে, ড. ইউনূস সাহেবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তিনি চেষ্টা করছেন৷ তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ড. ইউনূস সফল হবেন। আসুন আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি।

মির্জা ফখরুল বলেন, চারদিকে টেলিভিশনের টকশো, বিদ্বান মানুষের কথা ও রাজনৈতিক বক্তব্যসহ সবকিছু শুনে সবাই কেমন যেন হতাশ হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন,  এতো যে রক্তপাত, মানুষের বুক খালি হলো, শেষ পর্যন্ত তার পরিণতি কী হবে? আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভালো হবে, খুব ভালো হবে। কারণ আমরা দেশের মানুষরা চিরকাল ভালোর জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছি এবং জয়ী হয়েছি। বিশেষ করে আমাদের তরুণ ছেলেরা, আজ বাংলাদেশের যা কিছু ভালো অর্জন, সবই তাদের জন্য। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই- আগস্টের আন্দোলনের একবারে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছে তরুণরা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করি, তার আগে আমাদের নেতা অনেকে ছিলেন। অত্যন্ত বড় বড় নেতা— মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের একেক জনের একেক চিন্তা ছিল। কারও চিন্তা ছিল সমাজতন্ত্র করবো, কেউ সমাজকে পাল্টে দেবো, কেউ ধর্মীয় ব্যবস্থাকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করবো... সব মিলিয়ে ছিল। তারপর যখন যুদ্ধ (মুক্তিযুদ্ধ) শুরু হয়েছিল, তখন সবাই এক হয়েছে লড়াই করার জন্য। আজ ২০২৪ সালেও একই ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এসেছি সবাই। কিন্তু যেদিন ছাত্রদের উপর গুলি করা হয়েছে, তখন সবাই এক হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছি। 

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজের মেয়ে সাবরিনা ইসলাম রহমান। আর সভায় সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়রাম্যানের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। 

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়