Apan Desh | আপন দেশ

তারেক রহমানের পিএস সানীর বৌ ভাত, বিএনপির বিশ্ব নেতারা লন্ডনে

প্রতিনিধি, লন্ডন

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২০ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ২২:৪২, ২০ মার্চ ২০২৩

তারেক রহমানের পিএস সানীর বৌ ভাত, বিএনপির বিশ্ব নেতারা লন্ডনে

বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের দাওয়াত কার্ড

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কথিত পিএস কাম ড্রাইভার আব্দুর রহমান সানির বৌ-ভাত আজ। কনের নাম ইয়ামিম সুলতানা প্রাচী। লন্ডনেই বসবাসরত বাবা রাজিউর রহমানের আদিবাড়ী বাংলাদেশের কুমিল্লা সদরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর্থা এলাকায়। 

বিএনপির বিশ্ব নেতারা অংশ গ্রহণ করবেন জমকালো আয়োজনের এই বৌ-ভাতে। ইতোমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিএনপির শীর্ষপদধারী নেতারা লন্ডনে পৌঁছেছেন। কাছাকাছি প্রবাসীরা মিলিত হবেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকছেন জমকালো আয়োজনের এই অনুুষ্ঠানে।

লন্ডনের ম্যানর পার্কের বিলাস ও ব্যয়বহুল হোটেল দ্য রয়্যাল রিজেন্টে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে, আর ডিনার পরিবেশিত হবে রাত সাড়ে আটটায়। লন্ডনসহ বিশ্বের অন্তঃত ৫০টি দেশের বিএনপি নেতাদের দাওয়াত করা হয়েছে। সংখ্যায় ৬শ’ জন।  আয়-ব্যয়ের হিসাবটা মেলানোই কঠিন।

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আখাউড়ার রবিশল ভূঁইয়াবাড়ীর ছেলে আব্দুর রহমান সানি। বাবার নাম আলহাজ ফজলুর রহমান ভূইয়া। বাংলাদেশে পলিটেকনিক্যাল থেকে পড়াশুনা করা সানির বসবাস এখন লন্ডনের কিংস্টনে। এই সানিকে কেউ বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পিএস, কেউ বলেন ড্রাইভার, আবার কেউ বলেন চীফ এক্সিকিউটিভ। বিএনপিতে তার কোনো পদ নেই। তবে বিএনপির দ্বিতীয় প্রধান তারেক রহমানের সাথে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সবার সেতুবন্ধনের কাজটি তিনি এখন করছেন।

লণ্ডনের কোনো সভা-সেমিনার হলে তারেক রহমান যে মঞ্চে বক্তব্য রাখেন সেই মঞ্চে পেছনের চেয়ারটি থাকতে হয় তার জন্য। লন্ডনে কখনো দেখা গেছে মঞ্চে নেতাদের চেয়ার নেই। তারপরও আবদুর রহমানের জন্য তারেক রহমানের পেছনের চেয়ারটি ছিল ঠিকই। প্রভাবের দিক থেকে তিনি অনেকগুনে বেশি ধারণ করেন। তাকে ডিঙ্গিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখাসাক্ষাত তো দূরে থাক, কথা বলাও দিবাস্বপ্ন। এই বিচারে লন্ডনমুখি নেতাদের কাছে সানি অনেক মূল্যবান।

এতো লন্ডনের চিত্র। বাংলাদেশের চিত্র আরও ভয়ঙ্কর। দলীয় নেতা-কর্মীরা অসুস্থ বা আহত হয়ে হাসপাতালে গেলে দলের চেয়ারপার্সন দেখতে গেছেন এমন নজির কমই রয়েছে। কিন্তু আবদুর রহমান সানীর পিতা অসুস্থ হয়ে তখন ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন তাকে দেখতে গিয়েছিলেন চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে শুরু করে স্থায়ী কমিটির অনেকে। এতেই অনুমান করা যায় তার প্রভাব কতটা রয়েছে দলে।

সানির ভাই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কবির আহমেদ অনুষ্ঠানের আয়োজক। দাওয়াত কার্ডের নীচে লিখে দেয়া হয়েছে ‘No boxed gifts please'। এ শব্দগুলো তো কার্ডের সৌন্দর্য। বাস্তবা ভিন্ন। দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের হাতের লেখা দাওয়াতপত্রও পৌছেছে বেশ ক’জনের হাতে। এতে কী মিন করে অন্তঃত তা বুঝতে বাকি থাকেনি মিলিয়নার নেতাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক নেতার ভাষ্য- সামনে নির্বাচন, কমিটিও চলমান বরের নেকনজর কে না চাইবে। প্রতিদান পেতে নববধুর হাতে বড় পোটলার চেয়ে চিকন খামই বেশ মানানসই দেখাবে। 

চাউর আছে সানির মনখুশির ওপর অনেকটাই নির্ভর করে দলীয় নেতাদের রাজনৈতিক ভাগ্য। দাওয়াতপত্র পাবার পরও সেই সানির বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে শরিক না হলে কেমন বিপর্যয় ঘটবে সে আন্দাজটা পরিমাপ করতে ভুল হয়নি বিশ্বে বিভিন্ন দেশের সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্য নেতাদের। তাই আগেভাগেই অনেকেই লন্ডনের রয়্যাল রিজেন্ট বা আশপাশের হোটেলে উঠেছেন।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়