ছবি : আপন দেশ
আমরা যে কর্মসূচি দিয়েছি এটা সরকার পতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি নয়। এটা হচ্ছে সরকার পতনের লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ। চূড়ান্ত যে কর্মসূচি সেটা চূড়ান্ত সময় আসবে বলে জানিয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
বুধবার (১৭ মে) রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে সংহতি মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি নাগরিক ঐক্যের সভাপতির বক্তাব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে রোডমার্চ ও পদযাত্রার পাঁচদিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করে বলেন, শেখ হাসিনা কোনো অন্তবর্তিকালীন সরকারের প্রস্তাব দেননি।উনি নিজে ক্ষমতায় থাকবেন এটা প্রথম থেকেই বলেছিলেন। তার সেক্রেটারিসহ অন্যান্যদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ে জায়গায় দেবেন। পরে যখন বিএনপি মূল অপজিশন বললো যে, আমরা এটাতে যাবোই না। তখন বললো যে, ওদের কেনো নেবো? তখন তারা (সরকার) বলছে, ওদের (বিএনপি) নেবো না, যারা সংসদে আছে তাদেরকে নিয়ে কাজ করবো। সংসদে যারা আছে তারা তো তাদের সাথেই আছে।
আমাদের বক্তব্য যে, এই সরকারকেই যেতে হবে। তারপরে নতুন করে একটা অন্তর্বতী সরকারের প্রশ্ন। বাকি যেগুলো ওরা বলেছেন ওইগুলোতে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য, জ্বাল বিছানোর জন্য বলছেন, ওইগুলোতে আমরা খুব কেয়ার করছি না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার নানা কর্মসূচি নিয়ে এগুচ্ছি। এই সরকার পতনের লক্ষ্যে জনগণের যে একটা অভ্যুত্থান সেটা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঘটবে।দিন ক্ষণ ঠিক-ঠাক করে আন্দোলনের বিষয়টি আমরা এ্ভাবে বিশ্বাস করি না।
আমরা মনে করি, আন্দোলনটা জনগণের ভেতর থেকে তৈরি হচ্ছে এবং সেই আন্দোলন তার সময় মতো তার ভূমিকা পালন করবে। সরকার কিন্তু আন্দোলনের প্রস্তুতিতেই ইতিমধ্যে ভয় পেয়ে গেছে।
তারা মধ্যে ইতিমধ্যে প্রস্তুাব দিয়েছে যে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে তারা নিতে চায়। তার মানে হচ্ছে যে, তারা আগে-ভাগে একটা আপোষের দিকে এগুচ্ছে। আন্দোলনের গতি যত বাড়বে আমরা দেখবো যে, সুর বিভিন্নভাবে বদলাচ্ছে। এসব করে কোনো লাভ হবে না।তাদেরকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে, জনগন আর তাদেরকে ওই ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতো ভোট করতে দেবে না।
বিদেশী দেশগুলোর ওপর দায় দিয়ে একাত্তর সালের সেন্টিমেন্টকে আবারো মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তুলে নিজেদের অপশাসনটাকে জায়েজ করতে চাচ্ছে। ভোটের অধিকারকে কেড়ে নেয়া জায়েজ করতে চাচ্ছে সেটা আর জনগন ভুলবে না।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, ইমরান ইমন, সাকী আনোয়ার রাষ্ট্র জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, মোশাররফ হোসেন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিরুর রহমান রিজু, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নি শিখা জামালী, আকবর খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন
আপন দেশ/জেআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।