ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপি আবারও অগ্নিসন্ত্রাস করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজ মসজিদ সংলগ্ন সড়কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের আয়োজিত ঢাকায় শান্তি সমাবেশে ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগ মাঠে ছিল এবং আগামী দিনেও থাকবে। বিএনপিকে নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাস পরিহার করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম বলেন, জিয়াউর রহমান মৃত্যুর আগপর্যন্ত আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন। একইপথের পথিক বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকা সময়ে ২১ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান। ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা এবং নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ দলের ২২ নেতাকর্মী নিহত এবং অন্তত ৫’শ নেতাকর্মী, পথচারী ও সাংবাদিক আহত হন।
তিনি বলেন, শুধু হত্যার চেষ্টাই নয়, হত্যার পর লাশ নিয়েও তারা যে কর্মকাণ্ড করেছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মারা যাওয়ার পর অনেকের লাশ তারা দিতে চায়নি। লাশ আত্মীয়-স্বজনের কাছে তারা দেয়নি। পারলে লাশটা গুম করে ফেলতো, এই ছিল অবস্থা।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত অনেকেই আজ মারা গেছেন। অনেকেই পঙ্গু হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। যার কারণে দেশে-বিদেশে আজকে অগ্নি সন্ত্রাসের দল হিসেবে বিএনপি-জামায়াত পরিচিতি পেয়েছে। বিএনপি-জামায়াত তাদের মিশন সফলের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর জন্য আন্দোলনের নামে ২৫-৩০ জন পুলিশকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে, ভোটকেন্দ্রের ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে, চলন্ত ট্রেনে-বাসে পেট্রলবোমা মেরে শত শত মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করেছে।
তিনি বলেন, বিষধর সাপকে বিশ্বাস করা গেলেও বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না। বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না। বিএনপি আন্দোলনের নামে যখন রাস্তায় নামে তখন দেশের মানুষ আতঙ্কিত থাকে।
মির্জা আজম বলেন, গাজীপুরসহ চলমান ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছে এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করছে। এই অপরাধে অনেককে তারা বহিষ্কার করেছে।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম মনু।
আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ ও উপদপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, ৬৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন, ৬৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. রাসেল ভূঁইয়া, ৪৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রবিন, ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।