ফাইল ছবি
তিন সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রদের শপথ অনুষ্ঠানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নারী মেয়র জায়েদা খাতুনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। শপথ অনুষ্ঠানে মায়ের ডান পাশে বসে ছিলেন তিনি।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তাকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কিছু কথা বলতেও দেখা যায়।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক সূত্র বলছে, শপথগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের জন্য সুপারিশ করেছেন জায়েদা খাতুন।
মেয়র জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সব কথাই হয়েছে। তাদের (প্রধানমন্ত্রী ও মেয়র জায়েদা খাতুন) দুজনের কথা হয়েছে। এ নিয়ে আমার বলা কি ঠিক হবে? আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আপনারা অপেক্ষা করুন। ভালো কিছু দেখতে পাবেন।’
এদিকে, শপথ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাদা আলাদা ফটোসেশনে অংশ নেন। গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় জাহাঙ্গীর আলমকেও সেখানে দেখা যায়।
ছবির প্রথম সারিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এবং মেয়র জায়েদা খাতুন ছিলেন। দ্বিতীয় সারিতে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তবে আরেক ছবিতে জাহাঙ্গীরকে চতুর্থ সারিতে দেখা যায়।
জাহাঙ্গীর আলম সদ্য সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। একই সঙ্গে মায়ের নামেও মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি। ঋণ খেলাপির জামিনদার হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। আপিলেও মনোনয়ন টেকেনি তার।
পরে মায়ের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার মূল দায়িত্বে থাকেন। দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বিরোধিতা করায় আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয় জাহাঙ্গীর আলমকে। গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছিল আওয়ামী লীগ। ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় চলতি বছরের শুরুতেই তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তাকে আবার স্থায়ী বহিষ্কার করে দলটি।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।