ফাইল ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার কাঁচা মরিচের দাম কমানোর জন্য ভারত থেকে আমদানির সুযোগ দিয়েছে। ভারত থেকে আগে আমদানি হয়নি।
তারপরও এখনো কিছু কিছু ব্যবসায়ী, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাদের একটি ট্রেন্ড হয়ে গেছে, ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দেয়া। এর বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করছে। তারা এ নিয়ে কাজও করছে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘চলচ্চিত্র শিল্পের উত্থানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের ধন্যাবাদ জ্ঞাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি অনেকটা অ্যামিবার মতো। অ্যামিবা কখনো নিজেকে দ্বিখণ্ডিত করে, বাড়েও। বিএনপি ও অ্যামিবার মধ্যে প্রচুর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জোটে আসলে কতটি দল আছে, সেটি নিয়ে একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা মাস্টার্সের অন্তত থিথিস হতে পারে। কারণ হচ্ছে কোনো সময় তারা বলেন ৩৬ দল, কোনো সময় ৫২ দল। আবার গতকালকে মিটিং করলো ১২ দল। আবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়েকদিন আগে বলেছেন- আমরা যে জোটটা করেছিলাম সেটি ভেঙে দিয়েছি। এখন আবার দেখা যাচ্ছে- ১২ দলের সঙ্গে মিটিং করছে।
তিনি বলেন, ১২ দল বা ৩৬ দলের নাম যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুখস্ত বলতে পারেন, আপনারা (সাংবাদিক) কোনো সংবাদ সম্মেলনে তাকে একবার জিজ্ঞেস করবেন যে, আপনি ১২ দল বা ৩৬ দলগুলোর নাম একটু বলেন। তিনি যদি বলতে পারেন আমি তাকে ধন্যবাদ জানাবো।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে বিদেশিদের হাত-পা না ধরার অনুরোধ: তথ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা স্পষ্ট বলেছেন-রাজনীতির নামে হরতাল, অবরোধ করা যাবে না। তাতে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়। এ বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যাদের কাছে গিয়ে ধরনা দেন, তাদের মধ্যে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেছেন হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও করা যাবে না। এগুলো গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে। তারা যে ক্রমাগতভাবে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করেছেন, সেই কথাটি ইইউ রাষ্ট্রদূতের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এটি বিএনপির অপরাজনীতির ওপর একটি বিরাট চপেটাঘাত।
চিনির দাম এবং রেমিট্যান্স নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, অর্থনীতির সূচকগুলো গত কিছুদিন ধরে অত্যন্ত ভালোর দিকে। এটিই প্রমাণ করে যে, আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে, রিজার্ভ বেড়েছে। রপ্তানি আয়ও বেড়েছে। এগুলো প্রমাণ করে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও দেশ সঠিক খাতে আছে, দেশ সঠিকভাবে চলছে। আমাদের অর্থনীতির চাকা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ সূচকগুলো সেটিই প্রমাণ করে।
আরও পড়ুন: নুর-রেজা কিবরিয়ার বাহাস উপভোগ করছি: তথ্যমন্ত্রী
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে যেভাবে নির্বিচারে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ নিহত হচ্ছে, এটার তীব্র নিন্দা জানাই। সেখানে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে; মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিভিন্ন দেশে পান থেকে চুন খসলেই বিবৃতি দেয় বা অনেক ক্ষেত্রে বিবৃতি বিক্রি করে, অথচ এক্ষেত্রে তারা নিশ্চুপ। বিশ্বের যেসব দেশ বিভিন্ন সময়ে মানবাধিকার নিয়ে পরামর্শ দেয়, তাদের বক্তব্যও খুঁজে পাচ্ছি না। এটা খুবই দুঃখজনক।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।