Apan Desh | আপন দেশ

আ. লীগ-বিএনপি মুখোমুখি, দর্শক বিদেশিরা!

অনিক রহমান

প্রকাশিত: ১৪:১৭, ১১ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৪:৩৪, ১১ জুলাই ২০২৩

আ. লীগ-বিএনপি মুখোমুখি, দর্শক বিদেশিরা!

ছবি : আপন দেশ

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে। এই দুই দলের সঙ্গে চলছে মিত্ররাও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারবিরোধীদের চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি আগামীকাল বুধবার। এদিন সরকার পতনের একদফা কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি ও মিত্ররা। 

অন্যদিকে ‘শান্তি বজায়’ রাখতে রাজপথে থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের মিত্ররাও অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকছে। 

নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীপক্ষ ততই মুখোমুখি হচ্ছে। অতীতে এ ধরনের মুখোমুখি অবস্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ-হতাহতের ঘটনা দেখেছে দেশবাসী। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সমাবেশের আগে নেই ধরপাকড়। পুলিশি অনুমতিও মিলছে নির্বিঘ্নে। 

দুই দলের একই দিন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মধ্যেই দেশে অবস্থান করবেন উন্নয়ন সহযোগীরা।

ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও অনুসন্ধানী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে অবস্থান করছে। আজ আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল। আগামীকাল তারাও থাকবেন দর্শক হিসেবে। 

আরও পড়ুন <> সরকার বিরোধী দলকে বাধা দেয় না, এটা ভাওতাবাজি কথা: মির্জা ফখরুল

একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে সিরিজ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। শনিবার বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরামের সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর এক দফা কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দেন একদফার। নগরীতে মাইকিং করে জানান দিচ্ছে আগামীকালের সমাবেশের। সমাবেশকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে প্রস্তুতিসভা। ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছে। অভিন্ন দাবিতে বিএনপির মিত্ররাও আলাদা মঞ্চ থেকে একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম আরও বিচক্ষণতার সঙ্গে এগুচ্ছে। একদিকে নির্বাচনের শতভাগ প্রস্তুতি অন্যদিকে রাজপথ নিয়ন্ত্রণে রাখার যথাযথ গঠনমূলক প্রস্তুতি নিয়েছে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে প্রার্থী মনোনয়নের জরিপও প্রায় শেষ করেছেন।  এখন মনোযোগ দিচ্ছেন বিদেশিদের আস্থায় আনার। দলটির নেতা বলছেন, নিজেদের প্রস্তুতি, উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন আদায়ের পর মনোযোগ দেবেন দেশীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আস্থায় অথবা কব্জায় আনার। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শোকের মাস আগস্টকে সামনে রেখে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের নামে কেউ যদি হত্যার পরিকল্পনা করে, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। 

আরও পড়ুন <> ফুটবলে কিক মারায়, স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির এই ধরনের (সরকার পতনে একদফার আন্দোলন) আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণায় আমরা চিন্তিত নই। তাদের (বিএনপির) যখন যে ধরনের কর্মসূচি আসবে, তা দেখে পালটা কর্মসূচি দেয়া হবে।
জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ হচ্ছে এ সরকারের পতন। সেই লক্ষ্যে একদফা ঘোষণা করা হবে। সাধারণ জনগণ এবার সেই আন্দোলনে অংশ নেবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বর্তমান অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারকে জনগণ বাধ্য করবে।

বিদেশিরা মাঠে : দেশে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। তারা ইতোমধ্যে বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেহ বৈঠক করেছে। আজ আসছে নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
আগামীকালের সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করবের দলগুলোর সদস্যরা। আরো পর্যবেক্ষণ করবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। 

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়