ছবি : আপন দেশ
মানবাধিকারের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলে, যারা মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, বাংলাদেশকে যারা আহ্বান জানায় তাদের বলব– এসে দেখে যান, এদের বক্তব্য শুনুন, তাদের আর্তনাদ শুনুন। আগে এদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তাহলেই সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নৈরাজ্য ও মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় সন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ ও ১৯৭৭ সালে সামরিক জান্তার হাতে নির্যাতিতদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা আজ লম্বা লম্বা কথা বলে, বিকেল বেলা সমাবেশ করবে তারা সবাই আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা ও নির্মমতার জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন <> ঢাকা পুলিশে ঘেরা, গণপরিবহণও সীমিত
২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, যারা জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়েছিল তাদের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, বোমা হামলা করা হয়েছিল। এই নির্মমতার জন্য দায়ী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুলসহ আজ যারা লম্বা লম্বা বড় বড় কথা বলে, আজ যারা বিকেল বেলা সমাবেশ করবে তারা সবাই হুকুমদাতা ও নির্মমতার জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, আজ আমার বামপাশে জিয়াউর রহমানের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছেন আর ডানপাশে বিএনপি নেতাদের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছেন। আজ তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ তাদের বিচার হবে।
মানববন্ধনে অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা হামলা ও নৈরাজ্যের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এসময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, ঢাবি নীল দলের আহ্বায়ক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।