বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের
বিএনপির এক দফা নয়া পল্টনে কাদা পানিতে আটকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, বিএনপির একদফা শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের দফা একটা শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন হবে। আমাদের সেই নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করব।
বুধবার (১২ জুলাই) বিকালে বাইতুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত 'শান্তি সমাবেশে' প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দেবেন। বাংলাদেশের জনগণ যাকে ভালোবাসে, বাংলাদেশের জনগণ যে নেত্রীর সততাকে, উন্নয়নকে পছন্দকে করে, যিনি সারারাত জেগে মানুষের কথা ভাবেন, আমাদের এমন নেতা আমরা হারাতে পারি না।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচন হলে তারা হেরে যাবে, শেষ হাসিনার জনপ্রিয়তায় তারা ভেসে যাবে। তাই তারা শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার অপরাধ তিনি দেশে উন্নয়ন প্রকল্প করছেন। বিএনপি অনেক চেষ্টা করেছে। অনেক লোক আনার চেষ্টা করেছে। ডিসেম্বরের স্বপ্ন গোপিবাগে গরুর হাটের গিয়ে মারা গেছে। আরেকটা স্বপ্ন দেখেছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নয়া পল্টনে কাদা পানিতে আটকে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এক দফা- সংবিধান সম্মত নির্বাচন। কোনো বাধা দেব না। কাউকে আক্রমণ করতে যাব না।
তিনি বলেন, ঢাকায় যারা বিদেশি বন্ধুরা এসেছেন, আপনারা চান- ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের লক্ষ্য - ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের সেই নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করব। খেলা চলবে নির্বাচন পর্যন্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের হাতে রক্তের দাগ, তাদের সঙ্গে সংলাপ নয়। তাদের সঙ্গে আপোষ নয়। আমরা ৭১ এর চেতনার সঙ্গে আপোষ করতে পারি না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এক দপা ঘোষনা করার কথা বলছে। তারা মাঝেমধ্যে এক দপা ঘোষণা করে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার এখনো টিকে আছে। তাদের এক দপার আন্দোলন বেলুনের মতো ফুটো হয়ে গেছে। এই বারও ফুটো হয়ে যাবে। কোনো দিন বাস্তবায়ন হবে না। বিষদর সাঁপের খোলসের মতো বদল করে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এই সমাবেশ এমন সময় হচ্ছে, যখন ১৪ দরে শেখ হাসিনার নেতৃবে এগিয়ে যাচ্চে। বিএনপি জামায়াত সড়যনৃত্র করচে। বিদেশি বন্ধুরা দেশে আশায়, তাদের উপস্থিতিতে বিএনপি একটা শোডাউন করতে চায়। তাদের সঙ্গে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই। তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা করে দেশ বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে চায়। সে জন্য তারা সরকার পতমের এক দফা দিচ্ছে। আমরা তাদের াতীতের মতো মোকাবিলা করবো। আজ কয়েক ঘণ্টার নোটিশে কয়েক লাক মানুস জমায়েত হয়েছে। আমাদের এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপির সরকার পতনের এক দফা ঘরে ফিরে যাবে। জনগণকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শক্তি ঐক্যবদদ্ধভাবে মোকাবিলা করবে। শেখ হাসিনা বাঁচলে দেশ বাঁচবে, শেখ হাসিনা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা এই সড়যন্ত্র সফল হতে দেবো না। আজ থেকে ঢাকার রাজপথ আমাদের দখলে থাকবে। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে নগর ভবন পর্যন্ত লোকারন্য হয়েছে। আমরা বিএনপির সড়যন্তে্রর বিরুদ্ধে মাঠে আছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাঠে থাকবো।
ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। নৌকার কোনও বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। তার প্রমাণ পদ্মা সেতু। আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে।
সমাবেশের সময় ৩টায় থাকলেও দুপুর ২টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা ও মহানগর শাখার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা যায়।
রাজধানীর আশেপাশের উপজেলাগুলো থেকেও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে সমাবেশে আসতে দেখা যায়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, কয়েক লাখ নেতাকর্মী এ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ; সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস কামাল হোসেন, আহমেদ হোসেন; দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা এবং ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকমীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।