ছবি: আপন দেশ
ঢাকা: আওয়ামী লীগের হাতে কেউ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে বিচার বিভাগের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন করা হচ্ছে। গায়েবি মামলায় কারাগারে আটক রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ২৪ ঘণ্টা লকআপে রাখা হচ্ছে। তাদের গুলি করা হচ্ছে, হাতুড়ি দিয়ে হাত পা গুঁড়ো করে দেয়া হচ্ছে। এর নামই কি গণতন্ত্র?
তিনি অভিযোগ করেন, আগের মতোই জোর করে, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। তারা ‘এখনই গুলি করতে শুরু করেছে। এখনই রাতে বাড়িতে থাকতে দেয় না। মিথ্যা মামলার ওয়ারেন্ট নিয়ে হাজির হয়।’
শনিবার (৫ আগষ্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদ জাতীয়তাবাদী সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন। দেশ ও জনগণের পক্ষে থাকুন। অন্যায় আদেশ মানবে না। নিপীড়িত জনগণের পাশে থাকুন।
আরও পড়ুন<<>> বিএনপি ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া: ওবায়দুল কাদের
গুম করে, খুন করে, হয়রানি করে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা স্তব্ধ করা যাবে না এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা আমাদের অন্তর্গত শক্তি। এক সময় মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এখন গণতন্ত্রের জন্য, বাকস্বাধীনতা জন্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না বাকস্বাধীনতায়ও বিশ্বাস করে না। যদি বিশ্বাসই করত তাহলে তারা এ দেশকে গণতন্ত্রকামি রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য চেষ্টা করত। এরা দুই বার জোর করে ভোট করে দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে হাস্যকর অবস্থায় ক্ষমতা দখল করে আছে। গত কয়েক বছরে ৫৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সহস্রাধিক সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে না।
আওয়ামী লীগ আবার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে আগের মত নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা ডিসি-এসপি রদবদল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি এগুলো দিয়ে যাচ্ছে আবার জোর করে নির্বাচন করার জন্য।
এবার আর সেটা হবে না বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এদেশে গণতন্ত্র নেই। গত দুটি নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে চুরি-ডাকাতি হয়েছে। এবার অবশ্যই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে- বলেন তিনি।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাবি সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. মো. মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (অ্যাব) প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আলমগীর হাসিন আহমেদ, প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম, আসাদুজ্জামান চুন্নু, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী, মেহেদী হাসান সোহেল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালরে অধ্যাপক মো. শামসুল আলম, অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
আপন দেশ/এবি/এমএমজেড
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।