সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ঢাক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে এটা (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) নাম পরিবর্তন করে নিবর্তন মূলক আইন প্রণয়নের নামান্তর মাত্র। তারা এটার নাম পরিবর্তন করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা আবারও বলছি, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সম্পূর্ণ বাতিল চাই। এটা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আইন, মানুষের অধিকারের বিরুদ্ধে আইন, মিডিয়ার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আইন…। এটা রাখার কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না।
সোমবার মন্ত্রিসভা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নাম পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিপটি অ্যাক্ট নামে নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়। ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি পাস হয়েছিল।
আরও পড়ুন <<>>মানহানির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কারাদণ্ড নয়, ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ব্যাপক সমালোচিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হলেও পুরনো আইনের বাতিল হওয়া ধারাগুলো নতুন আইনে রেখে দেয়ায় এর অপপ্রয়োগের শঙ্কা ছিল উদ্বেগের কেন্দ্রে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার লেখক মুশতাক আহমেদ ২০২১ সালে কারাগারে মারা যাওয়ার পর ওই আইন বাতিলের দাবিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, এগুলো হচ্ছে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা ও বিদেশিদের একটা প্রচণ্ড চাপ আছে, আন্তর্জাতিকভাবে চাপ আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে…। তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করা আর কি। এটা হচ্ছে, খুব ঝড়ের মধ্যে একটা উট পাখি মাথা ঘুজে থাকে..। ওরা ভাবছে এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে খুব বুদ্ধিমানের কাজ করছে। তারা মানুষকে বোকা ভাবে। এটা কিন্তু ঠিক না। এটাতে প্রমাণ হচ্ছে যে, তাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে একই কায়দায় তারা করছে।
আরও পড়ুন<>ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের পুরো বিষয়টা আমরা এখনো পাইনি। আমরা দেখতে চাই যে, কী এসেছে, তা দেখে গণমাধ্যমের সামনে পরবর্তীতে কথা বলব। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের কথা খুব স্পষ্ট, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুরোপুরি বাতিল চেয়েছি। এটা নিয়ে কথা বলেছি, বাতিলে দাবি জানিয়েছি, সেমিনার করেছি। এই আইনটা সবচাইতে নিকৃষ্ট কালো আইন স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য। এই আইন কোনো মতেই থাকা উচিত না, আমরা বাতিল চাই।
আপন দেশ/জেডআই/এবি/এমএমজেড
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।