ছবি : সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। মোনাজাত পরিচালনা করছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
রোববার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর কিছু সময় নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি এসেছেন ইজতেমা ময়দানে। সকাল থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ঢাকা ও এর আশাপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ছুটে এসেছেন তুরাগ তীরের উদ্দেশ্যে।
অনেকে মূল মাঠে যেতে না পারলেও যে যেখান থেকে পারছেন দাঁড়িয়ে বা বসে মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন। দু-হাত তুলে ফরিয়াদ করছেন মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে।
ইজতেমা ময়দানের মুসল্লিদের যাতায়াত সহজ করতে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের তিনটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। মোনাজাত শেষে আজ দুপুর ২টার পর সড়কগুলো আবার খুলে দেয়া হবে।
সড়ক তিনটি হলো ঢাকা— ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া মোড় থেকে টঙ্গীর মন্নুগেট সড়ক।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব সড়কে ইজতেমার মুসল্লি বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি চলতে পারবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমকর্মী বা বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন <> বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন চলছে
আরও চার মুসল্লির মৃত্যু : বিশ্ব ইজতেমায় আরও চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ জনে। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে মারা যান ১৪ জন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ মৃত্যু হয় ছয়জনের।
ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার সানোয়ার হোসেন (৬০), চট্টগ্রামের আলম (৫৬), নরসিংদীর শাহনেওয়াজ (৬০) সিরাজগঞ্জের আল মাহমুদ(৭০), শেরপুরের নওশের আলী (৬৫), ভোলার আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোনা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলার শাহ আলম (৬০), জামালপুরের পাকুল্লা গ্রামের মতিউর রহমান (৬০), টঙ্গীর আ. জব্বার (৫৫)। আরেক জনের পরিচয় জানা যায়নি।
ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া ছয়জন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০) মারা যান, শেরপুরের আমেলা খাতুন (৬০), ঢাকার মিরপুর সাড়ে এগারোর বাসিন্দা মোবাশ্বের আহমেদ (৬৮)। আর একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।