ছবি: সংগৃহীত
তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ। তাহিয়্যা অর্থ উপহার আর দুখুল অর্থ প্রবেশ করা। অর্থাৎ মসজিদে প্রবেশ করেই উপহার হিসেবে ২ রাকাত নফল নামাজ পড়া। এজন্য এর নাম তাহিয়্যাতুল মসজিদ। মসজিদে প্রবেশের আদবস্বরূপ ২ রাকাত নামাজ পড়া খুবই সওয়াবের কাজ।
নিষিদ্ধ সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে এ সালাত আদায় করা যাবে কি?
যেকোনো সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তাহিইয়াতুল মসজিদ সালাত আদায় করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) ২ রাকআত সালাত আদায় না করে মসজিদে বসতে নিষেধ করেছেন। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭০৪)
কখন তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ আদায় করতে হয়?
জামায়াত চলাকালীন সময় ছাড়া যখনই মসজিদে প্রবেশ করবে তখনই। আগে এ সালাত আদায় করে পরে মসজিদে বসবে। কোনো সালাত আদায় করা ছাড়া মসজিদে এমনিতেই বসে পড়া বৈধ নয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বেই ২ রাকআত সালাত আদায় করে’। (বুখারি: ৪৪, ইফা: ৪৩১, আধুনিক: ৪২৫)
কাউকে কাউকে দেখা যায় যে মসজিদে গিয়ে কোনো সালাত আদায় ছাড়া এমনিতেই বসে পড়ে। এটা গর্হিত কাজ, সুন্নত বিরোধী কাজ। এমনকি জুমার খুতবা শুনা যেখানে ওয়াজিব, সেই খুতবা চলাকালীন সময়েও কেউ মসজিদে ঢুকলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে আগে তাহিয়্যাতুল মসজিদ ২ রাকআত সালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (দেখুন বুখারি: ৯৩০, ৯৩১), এরপর মসজিদ বসবে।
কেউ যদি আসরের পর ও সূর্যাস্তের পূর্বে মসজিদে আবার প্রবেশ করে তাহলে একদল ফকিহর মতে তখনও তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়বে। আর আজান চলাকালীন সময়ে মসজিদে ঢুকলে দাঁড়িয়ে আজানের জওয়াব দিয়ে পরে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়বে, এরপর বসবে। সূত্র: বাংলা হাদিস
নিজ কক্ষে ফজরের ২ রাকআত সুন্নত পড়ে মসজিদে গিয়ে কি আবার তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া যাবে?
হ্যা, তা পড়বে। সূত্র: বাংলা হাদিস
ইয়া আল্লাহ! সব মুসলিম উম্মাহকে সহিহ-শুদ্ধ ভাবে প্রতিটি ইবাদত করার তাওফিক দান করনি। আমিন।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।