ছবি: আফিয়া মুবাশ্বিরা নোশিন
মাহে রমজান অফুরন্ত রহমত, বরকত, কল্যাণ ও মঙ্গল পূর্ণ মাস। এ মাস আল্লাহ তাআলা এক বিশেষ অনুকম্পা ও নিয়ামাত। অধিক পরিমাণে আমলের মাধ্যমে বিপুল সওয়াব অর্জন ও নেকি লাভের মৌসুম। এ মাসেই পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
ইসলামের মৌলিক পাঁচটি ভিত্তির অন্যতম একটি হলো রোজা। তাই কেউ এটি অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে এবং রোজা নিয়ে কটুক্তি করলে ঈমান চলে যাবে। ধনি-গরিব নির্বিশেষে সব বুদ্ধিমান সাবালক মুসলিম নর-নারীর উপর রোজা ফরজ। শরয়ী কোন ওজর ব্যতীত রোজা না রাখলে কবিরা গুনাহ হবে।
রমজান হলো তাকওয়া অর্জনের প্রশিক্ষণের মাস। তাকওয়া অর্জনই রমজানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। রমজানের আমল করলে একটি কাজের জন্য ৭০ বা তার চেয়েও বেশি নেকি পাওয়া যায়। রমজান মাসে কয়েকটি আমলের কথা বলা হেলা।
* সিয়াম পালন করা
* সময়মেতা নামাজ আদায় করা
* সিহভাবে কোরআন শেখা ও তেলাওয়াত করা
* অপরকে কোরআন পড়া শেখানো
* সাহরি খাওয়া
* তারািব নামাজ পড়া
* শুকরিয়া আদায় করা
* কল্যাণকর কাজ করা
* তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া
* বেশি বেশি দান করা
* উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা
* ইতিকাফ করা
* দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করা
* সামর্থ্য থাকলে ওমরাহ পালন করা
* লাইলাতুল কদর তালাশ করা
* বেশি বেশি দোয়া ও কান্নাকাটি করা
* সময়মতো ইফতার করা ও অন্যকে ইফতার করানো
* তওবা ও ইস্তিগফার করা
* তাকওয়া অর্জন করা
* জাকাত দেওয়া
* ফিতরা দেওয়া
* অপরকে খাবার খাওয়ানো
* আত্মীয়তার সম্পর্ক উন্নীত করা
* কোরআন মুখস্থ বা হিফজ করা
* আল্লাহর জিকির করা
* মিসওয়াক করা
* কোরআন বোঝা ও আমল করা
রমজানের বিশেষ তিনটি আমল হলো: (১) কম খাওয়া, (২) কম ঘুমানো, (৩) কম কথা বলা।
হারাম থেকে দূরে থাকা; চোখের হেফাজত করা, কানের হেফাজত করা, জবানের হেফাজত করা।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।