ছবি: সংগৃহীত
প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর প্রতি বছরই পশু কোরবানি করা কর্তব্য। এ পশুর মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। এছাড়া অন্য কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই।
হযরত মিখজাফ ইবনে সালিম রা. বলেন, আমি রাসূলকে (সা.) আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে সমবেত লোকদেরকে সম্বোধন করে একথা বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা জেনে রাখ, প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর প্রত্যেক বছরই কোরবানি করা কর্তব্য। আর যার সামর্থ্য নেই তাদের ওপর কোরবানি কর্তব্য নয়। কারণ আল্লাহ কারও ওপর এমন কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না, যা তার সাধ্যের বাইরে।’ (তিরমিজি)
হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যার কোরবানির সামর্থ্য রয়েছে, কিন্তু কোরবানি করে না- সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’
কোরবানির পশু কেনার আগে খেয়াল রাখতে হবে যেসব বিষয়-
পশু এমন দুর্বল কেনা যাবে না যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে বা কোরবানির স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে অক্ষম। এমন পশু দিয়ে কোরবানি বৈধ হবে না। কোনো পশুর একটি পা যদি এমনভাবে নষ্ট হয়ে যায় যে, চলার সময় সেটি দিয়ে কোন সাহায্য নিতে পারে না তবে ওই পশু দিয়েও কোরবানি হবে না।
আরও যেসব পশু দিয়ে কোরবানি বৈধ হবে না-
১. শিং গোড়া থেকে ভেঙে গেলে সেই ক্ষত যদি মগজ পর্যন্ত পৌঁছায়
২. দাঁত মোটেও না উঠলে বা যদি অর্ধেক পড়ে যায়
৩. দৃষ্টি শক্তি তিন ভাগের এক ভাগ কমে বা নষ্ট হয়ে গেলে
৪. লেজের অন্তত তিন ভাগের একভাগ কাটা গেলে।
৫. কান একেবারে না উঠলে (অবশ্য খুব ছোট কান থাকলেও হবে)
ক্রয় করা পশু যদি গাভীন বলে জানা যায় তবে তা দিয়ে কোরবানি হবে। কিন্তু পেটে বাচ্চা জীবিত পাওয়া গেলে সেটিকেও আল্লাহর নামে জবেহ করে দিতে হবে।
কোরবানির পশুর বয়স
কোরবানি করার জন্য পশুর বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। কোরবানি করার জন্য ছাগল, ভেড়া, দুম্বার অন্তত এক বছর বয়স হতে হবে। গরু, মহিষের অন্তত দুই বছর এবং উটের অন্তত ৫ বছর বয়স হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে এক বছরের মতো লাগে, তাহলে তা দিয়েও কোরবানি শুদ্ধ হবে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।