ছবি: সংগৃহীত
ইসলামের অন্যতম তাৎপর্যমণ্ডিত ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত কোরবানি। এতে আছে আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক মহিমা। এটি আদায়ের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট নীতিমালা। সব ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না। প্রয়োজন হয় ত্রুটিমুক্ত পশুর। বড় ধরনের অসুস্থতা বা ত্রুটি আছে এমন পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না।
আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাউসার: ২) অন্য আয়াতে এসেছে- (হে রাসুল!) আপনি বলুন, আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ রাব্বুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা আনআম: ১৬২)
হাদিসে এসেছে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘৪ ধরনের পশু কোরবানি করা বৈধ নয়, (১) যে পশু একচক্ষুহীন বা কানা এবং সেটির কানা হওয়াটা স্পষ্ট (২) স্পষ্ট অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ পশু (৩) বাহ্যত দেখা যায় এমন ল্যাংড়া পশু এবং (৪) হাঁড় বেরিয়ে গেছে এমন দুর্বল পশু’। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯৩)
আরও পড়ুন>> কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হয়?
উক্ত হাদিসের আলোকে ওলামায়ে কেরাম বলেন, যে পশুর শিং গোড়া থেকে ভেঙে গেছে এবং সে কারণে মস্তিস্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ওই পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। তবে শিং ভাঙ্গার কারণে মস্তিষ্কে যদি আঘাত না পৌঁছে, তাহলে ওই পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ। যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি, সে পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ।
এছাড়া নিজে হেঁটে জবাইয়ের জায়গায় যেতে পারে না এমন শুকনো দুর্বল পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না। দাঁত পড়ে যাওয়ার কারণে ঘাস চিবিয়ে খেতে পারে না এমন পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না। যে পশুর লেজ বা কোনো কান অর্ধেক বা তারও বেশি কাটা সে পশু দিয়েও কোরবানি শুদ্ধ হয় না।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।