ছবি: সংগৃহীত
ওজন দেখে কোরবানির গরু কেনা অবশ্যই জায়েজ। আর জায়েজ হবে না কেন? সময়ের পরিক্রমায় নানাভাবেই অবস্থার পরিবর্তন হয়। যেমন আগে আমরা তরমুজ কীভাবে কিনতাম? পিস হিসেবে কিনতাম। আর এখন তরমুজ কিনতে হয় ওজন দেখে। দুইভাবেই কেনা জায়েজ আছে। তাই গরুও ওজন দেখে কিনতে পারেন আবার শুধু দামদর করেও কিনতে পারেন। এটা নিয়ে নিষেধাজ্ঞার কিছু নেই। এটি বাজার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে।
আমাদের দেশের গরুর খামারগুলোতে পশুর লাইভ ওয়েট অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে পশু বিক্রির প্রচলন রয়েছে। অনেক কোরবানির হাটেও এখন পশুর ওজন মাপার জন্য ডিজিটাল স্কেল বসানো হয়। ওজন দরে পশু কেনার সুযোগ থাকে।
পশুর লাইভ ওয়েট দেখে পশুর মূল্যমান বা তার গোশতের পরিমাণ অনুমান করা যায়, কিন্তু নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। তাই যদি পশুর লাইভ ওয়েট অনুযায়ী গোশত বিক্রি করা হয়, তা জায়েজ হবে না। যেমন কোনো পশুর লাইভ ওয়েট হলো ১৫০ কেজি, তা থেকে ৪০ শতাংশ বর্জ্য হিসেবে বাদ দিয়ে ৯০ কেজি গোশত ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হলে, তা জায়েজ হবে না।
আরও পড়ুন>> ঋণ থাকলে কোরবানি দেয়া যাবে?
কিন্তু যদি লাইভ ওয়েট মূল্যমান অনুমান করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়, পশু দেখে তার লাইভ ওয়েট অনুযায়ী যা দাম আসে তা দেখে ক্রেতা-বিক্রেতার সম্মতিতে মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তাহলে এ বেচাকেনা জায়েজ হবে। যেমন ক্রেতা কোনো পশু দেখে পছন্দ করল, গরুটি কেজিপ্রতি কত টাকা দরে বিক্রি হবে তা নির্ধারণ করা হলো, এরপর লাইভ ওয়েট দেখার পর ক্রেতা-বিক্রেতার সম্মতিতে দাম নির্ধারণ করা হলো, তাহলে এ বেচাকেনা জায়েজ হবে।
কারণ এক্ষেত্রে ওজন হিসেবে গরু বা ছাগলটির গোশত ক্রয়-বিক্রয় করা হয়নি। বরং এটার মূল্য অনুমান করার জন্য গরুটি ওজন করা হয়েছে। ক্রেতা গরুটি চেখে দেখেও ওই দামে কিনতে সম্মত হয়েছেন।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।