ছবি: সংগৃহীত
উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা এ সাত ধরনের গবাদি পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়। তবে খাওয়া হালাল এমন যেকোনো পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণ, বন্য ছাগল, নীলগাই ইত্যাদি খাওয়া হালাল হলেও এগুলো দিয়ে কোরবানি নিষিদ্ধ।
আল্লাহ তাআলা কোরবানি করতে বলেছেন ‘বাহিমাতুল আনআম’ বা হিংস্র নয় এমন গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু। তবে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে।
আরও পড়ুন>> সাংবাদিকের ফোন কেড়ে ফের বিতর্কে সাকিব
একটি গরু বা মহিষ বা উট কোরবানিতে সাত শরিক থাকা বা সাতটি নাম থাকা জরুরি নয়। যেমন একটি গরু এক নামেও কোরবানি করা যায়। ২, ৩, ৪ বা ৫ নামেও কোরবানি করা যায়। এ রকম ক্ষেত্রে যে কয়জন শরিক থাকবে, সবাই ওই পশু কেনায় সমান অর্থ দেবে এবং গোশতও সমানভাবে ভাগ করে নেবে।
অনেকে মনে করেন, একটি গরু কোরবানিতে সাতজন শরিক থাকা বা সাতটি নাম থাকা জরুরি। এ ধারণা সঠিক নয়। সর্বোচ্চ সাতজন পর্যন্ত শরিক থাকার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে সাতনাম বা শরিক রাখা আবশ্যক করা হয়নি।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।