Apan Desh | আপন দেশ

দেশে ফিরেছেন ৩৯২০ হাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:০২, ২২ জুন ২০২৪

আপডেট: ১৩:৩৪, ২২ জুন ২০২৪

দেশে ফিরেছেন ৩৯২০ হাজি

ফাইল ছবি

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরছেন হাজীরা। গত ২০ জুন থেকে শুরু হয়েছে ফিরতি ফ্লাইট। আজ সকাল পর্যন্ত ১০টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন মোট ৩৯২০ জন। এবার হজ পালন করতে গিয়ে মোট ৩৫ জন বাংলাদেশি হাজীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) ধর্ম-মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হেল্প-ডেস্কের তথ্যমতে, বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজী নিয়ে শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি সৌদির কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর ছাড়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায়। পরদিন তিনটি বিমান সংস্থার আরও ১০টি ফ্লাইট হাজিদের নিয়ে দেশে ফিরেছে।‌ হাজি নিয়ে শেষ ফ্লাইটটি দেশে ফিরবে ২২ জুলাই।

এদিকে চলতি বছর প্রখর তাপদাহে সৌদিতে একহাজার হজযাত্রী মারা গেছে। এর মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ‌হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন বাকি ১৮ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত বুলেটিনে ৩৫ জন হাজি মারা যাওয়ার খবর বলা হয়েছে। মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। মক্কা শরিফে ২৮ জন, মদিনা শরিফে ৪ এবং মিনায় দুই জন এবং জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর যে ১৮ জন মারা গেছেন তারা হলেন, বরিশালের হিজলার আবু বকর সিদ্দিক (৫৯), ঝালকাঠির নূর মোহাম্মদ তালুকদার(৬৮), যশোরের অভয়নগরে শহিদুল ইসলাম (৪৯), ঝিনাইদহে কোটচাঁদপুর সুফিয়া বেগম (৮৭), চট্টগ্রামে রাউজানের আ স ম নুরুউদ্দিন চৌধুরী (৭২), ঢাকার মোহাম্মদপুরের জহিরুল ইসলাম (৭৩), মাদারীপুর শিবচরে ইদ্রিস খান (৫৬), ঢাকার বাড্ডার উম্মে কুলসুম (৪৭), ঢাকার বংশালের মনির হোসেন (৫৯), কিশোরগঞ্জের ফাতেমা ইয়াসমিন (৫৩), পিরোজপুরের নার্গিস (৬০), ঢাকা নিউ মার্কেটের আমিনুল ইসলাম (৬৫), নোয়াখালীর মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৮), রংপুরের সিদ্দিকুর রহমান (৪৮), ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মানিক তোফাজ্জল হক (৭০), ঢাকা মোহাম্মদপুরের রওশন আরা বেগম (৭২), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রেজাউল করিম মন্ডল (৬১), টাঙ্গাইল সদরের আলমগীর হোসেন খান (৭৩)।

হজ-ডেস্কের তথ্যমতে, হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে গত ১২ জুন বুধবার সৌদিতে দুজন মারা যান। মারা যাওয়া দুজন হলেন- মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২)। তাদের বাড়ি কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ।

মারা যাওয়া অন্য হাজিরা হলেন- নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মো আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রামের লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান (৬৩), রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), কুমিল্লার আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মোঃ জামাল উদ্দিন (৬৯), রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুরের মমতাজ বেগম (৬৩), গাইবান্ধার গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫) এবং তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪)।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি হজ করতে এসে মারা যান তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে ফেরত দেয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।

আপন দেশ/এইউ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়