Apan Desh | আপন দেশ

শত্রুদের প্রতি মহানবির মানবিক আচরণ

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৪:০০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শত্রুদের প্রতি মহানবির মানবিক আচরণ

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) শুধু তার অনুসারীদের জন্যই নয়। বরং সমস্ত মানবজাতির জন্য রহমত হয়ে এসেছিলেন। শত্রুরাও তার এ দয়ার্দ্র আচরণের ব্যতিক্রম ছিলেন না। তাকে কষ্ট দেয়া সত্ত্বেও তিনি তাদের জন্য বদদোয়া না করে বরং হেদায়াতের জন্য দোয়া করতেন। 

একবার সাহাবিরা তাকে মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করতে বললে বিশ্বনবি বলেছিলেন, আমাকে অভিশাপদাতা হিসেবে পাঠানো হয়নি। রহমত হিসেবে পাঠানো হয়েছে। (সহিহ মুসলিম)।

যুদ্ধক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন ন্যায়পরায়ণ ও মানবিক। শত্রুদের সঙ্গে কঠোরতা দেখানোর পরিবর্তে তিনি সবসময় সংযমী ছিলেন। তিনি নির্দেশ দিতেন, যুদ্ধের সময় বাড়াবাড়ি না করতে। নিষ্ঠুরতা না দেখাতে এবং বন্দিদের প্রতি সদয় হতে। 

বদরের যুদ্ধের পর সাহাবিরা মুশরিক বন্দিদের নিজেদের খাবার দিয়ে তাদের সেবা করেছিলেন। কোরআনে এর প্রশংসা করে বলা হয়েছে, তারা নিজেদের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মিসকিন, এতিম ও বন্দিদের খাবার দান করে। (সুরা দাহর: ৮)।

ব্যক্তিগত জীবনেও নবিজি (সা.) ছিলেন দয়ার্দ্র ও ক্ষমাশীল। এমনকি যারা তার প্রতি খারাপ ব্যবহার করত। তাদের প্রতিও তিনি নম্র ছিলেন। 

হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবিজির (সা.) সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাইলে তিনি তাকে 'নিকৃষ্ট লোক' বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু যখন লোকটি আসলো, তখন নবিজি (সা.) তার সাথে নম্রভাবে কথা বললেন। আয়েশা (রা.) এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, যে লোকের খারাপ ব্যবহারের জন্য মানুষ তাকে পরিহার করে। সে সবচেয়ে খারাপ লোক। (শামায়েলে তিরমিজি)।

মহানবির (সা.) এ মানবিকতা ও দয়ার্দ্রতা বিশ্বজুড়ে তার রহমতের নিদর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যা আজও অনুসরণীয়।

আপন দেশ/অর্পিতা 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়