ছবি: সংগৃহীত
শেখ আহমদুল্লাহ মাজারে সদকা দেয়া এবং দান ও মানত করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করেছেন। সম্প্রতি একজন দর্শকের প্রশ্নের জবাবে তার ইউটিউব চ্যানেলে তিনি এ কথা বলেন।
মাজারে দান না করে কোথায় দান করতে হবে তা ব্যাখ্যা করে আহমদুল্লাহ বলেন, মনে রাখবেন আপনি আল্লাহকে খুশি করার জন্য গরীবদের দান করছেন। কোরআন-হাদিসে মাজারে দান করার কোন উল্লেখ নেই। বরং সেখানে মানত করলে গুনাহ হবে। এটি মানত করার জায়গা নয়। মানত অবশ্যই সঠিকভাবে এবং পরিষ্কারভাবে করতে হবে। যেভাবে নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন।
আহমদুল্লাহ আরও বলেন, মাজারে যত বেশি টাকা দেবেন তত বেশি গাঁজাখোরদের গাজা কিনতে সুবিধা হবে। কারণ মাজারের আশপাশে বেশিরভাগ গাঁজাখোররাই থাকে। ধরুন যে কবরে আছে সে খুব নেককার ও বুজুর্গ, আপনি টাকা দান করলে তিনি কী পাবেন? না, সে পাওয়া তো দূরের কথা তার পরিবার বা আত্মীয়স্বজনও পাবে না। পাবে গাঁজাখোররা। তাই এসব জায়গায় কোনো মুসলমান টাকা দিতে পারবে না।
মাজারগুলোর টাকা কোথায় যায় সে বিষয়ে আহমদুল্লাহ বলেন, মিরপুর ও গুলিস্তানে মাজার আছে। আমি যতদূর জানি, সরকার এসব মাজার থেকে টাকা নেয়। গাঁজাখোররা নিতে পারে না। কারণ তালা দেয়া থাকে।
দান করার সঠিক জায়গা সম্পর্কে আহমদুল্লাহ বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমাদের বলে দিয়েছেন কোথায় দান করতে হবে। নিশ্চয় সদকা হচ্ছে ফকির ও মিসকিনদের জন্য। এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য। আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য (তা বণ্টন করা যায়)। দাস মুক্ত করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, মহা প্রজ্ঞাময়। (সুরা তওবা ৬০)।
এ আট খাতের মধ্যে মাজারের কথা উল্লেখ নেই। তাই মাজারে দান করা গুনাহ হতে পারে।
দানের সঠিক জায়গার ব্যাপারে আহমদুল্লাহ বলেন, মাজারের পাশে অনেক গরিব মানুষ আছে যাদেরকে দান করা উচিত। ইসলাম আমাদের এমনই নির্দেশ দিয়েছে। পীর সাহেব যদি মাজারে দান করার ফতোয়া দেন, তাহলে বুঝবেন এটাই তার ব্যবসা।
শেখ আহমদুল্লাহ প্রখ্যাত ইসলামি বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।